ফোনের চার্জিং পয়েন্টগুলো যেভাবে পরিষ্কার রাখবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে আমাদের দিনের বেশিরভাগ সময়্টি কাটে মোবাইলফোন ব্যবহার করেই। কর্মক্ষেত্রই হোক কিংবা অবসর কাটাতেই হোক, ফোনই এখন অনেকের সঙ্গী। তবে ফোন ব্যবহার করার পাশাপাশি এটি পরিষ্কার রাখাও জরুরি।

এর একটি কারণই হলো দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন পরিষ্কার না করলে ফোনের নানা জায়গায় ময়লা জমতে থাকে। যেমনিভাবে চার্জিং পোর্টেও ময়লা জমে যায়।

চার্জিং এর এই অংশে ময়লা জমলে চার্জ করার সময় সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তবে ফোনের এই অংশ পরিষ্কারের সঠিক নিয়ম অনেকের জানা নেই। অথচ এইক্ষেত্রে সামান্য ভুল হলেই বড় ক্ষতিও হতে পারে আপনার ফোনের। কীভাবে ফোন নিরাপদ রেখে দ্রুত এই ময়লা পরিষ্কার করবেন সেটি আজ জেনে নিন।

# প্রথমেই আপনার ফোনটি বন্ধ করে নিন। এতে ফোনের ভেতর ইলেকট্রিক পরিবহন বন্ধ হবে। কোনো কারণে কিছু সমস্যা হলেও ফোনের ততোটা ক্ষতিও হবে না।

# আপনাকে এরপর ব্লোয়ার ব্যবহার করতে হবে। এটি দিয়ে খুব সতর্কতার সঙ্গে চার্জিং পোর্টের ভেতর বায়ু ব্লো করতে হবে। এতে জমে থাকা ধুলোবালি এবং ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে অনেকটা।

# এখন একটি কটনবার দিয়ে খুব ধীরে ধীরে চার্জিং পোর্টের ভেতরের ময়লাগুলো পরিষ্কার করে নিন।

# অবশ্য অনেকেই পরামর্শ দেন ফোনের চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলও ব্যবহার করতে পারে। এতে আরও ভালোভাবে পরিষ্কার হবে। কটন সোয়াবের মাথায় এটি কয়েক ফোঁটা নিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।

# ব্লোয়ার দিয়ে চার্জিং পোর্টের ভিতর বায়ু ব্লো করে শুকনো কটনবার দিয়ে আরও একবার ভিতরে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।

# তারপর মোবাইল ফোন সুইচ অন করে নিন। চার্জিং পোর্ট কাজ করছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

# অনেকেই মুখ দিয়ে ফুঁ দিয়ে পরিষ্কার করেন। এতে করে ফুঁ এর সঙ্গে লালাও চলে যায় অনেকসময়। তাতে কিন্তু ফোনের ক্ষতিও হতে পারে।

# ভেজা কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এতে করে মোবাইল ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

# এ রছাড়াও ধাতব জাতীয় কোনো জিনিস দিয়ে পরিষ্কার না করাই ভালো। কারণ হলো এতে ইলেকট্রিক ব্যবস্থা নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র : এবিপি লাইভ।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org