দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে মুখ দেখেও কিন্তু বলে দেওয়া যায়। মুখে প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণ দেখেও নিজেই অনেকটা আন্দাজ করা যায়। কোন কোন লক্ষণ দেখে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে সেটি আজ জেনে নিন।
ভিটামিন এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আরও বাড়ায়। যে কোনও ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাবেই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে দেয় নানা ধরনের রোগ। সাধারণত খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মের জন্যই শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়। তবে রোগীর শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাবে অভাব হয়েছে কি-না, তা সহজে সব সময় ধরাও পড়ে না। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মানুষের শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে মুখ দেখেও সেটি বলে দেওয়া যায়। মুখে প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণ দেখে আপনি নিজেও অনেকটা আন্দাজ করতে পারবেন। কোন কোন লক্ষণ দেখে আগে থেকেই সতর্ক হবেন সেটি আজ জেনে নিন।
# আপনার চোখের নীচে কী কালি পড়েছে? চোখের চারপাশটা কী ফুলে যাচ্ছে? অনেকেরই এই সমস্যা হয় ভিটামিন এ’র অভাব হলে। তবে এই ভিটামিন বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই এমন উপসর্গ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
# অনেক সময় ত্বকের জেল্লা কমে যায়। আর তখন আন্দাজ করতে পারেন, শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাব দেখা দিয়েছে কি-না। এই ভিটামিনের অভাবেই ত্বক খারাপ হতে থাকে। তাছাড়াও সারাদিন শরীরে ক্লান্তি ক্লান্তি বোধ থাকবে। জিভে খাবারের কোনও স্বাদ পাবেন না। ভিটামিন বি১২-এর পরিমাণ ঠিক রাখতে স্যামন মাছ, রেড মিট (কোলেস্টেরল বাড়ায়, তাই পরিমাণ বুঝে শুনে তবেই খেতে হবে), দুধ, দই এবং চিজ খান।
# ঠোঁট ফাটা কিংবা শুকিয়ে যাওয়াও ভিটামিনের অভাবের অন্যতম একটি লক্ষণ। তাছাড়াও রক্তাল্পতার কারণেও ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার জন্য সামুদ্রিক মাছ, বিন এবং সব্জি খান বেশি করে। মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলে সাবধান হতে হবে। মুখের ভিতরে বিভিন্ন সমস্যার জন্যও দায়ী ভিটামিন সি-র অভাব। এই ধরনের সমস্যার জন্য লেবু এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org