দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে মেসেজে অপরিচিতদের সঙ্গে অনেক সময় কথা বলে থাকেন অনেকেই। এইসব কিছুকে এবার কাজে লাগাচ্ছে স্ক্যামাররা। প্রতারকরা এই অ্যাপটির সাহায্য নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময় ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিভিন্নভাবে সমস্যায় ফেলে প্রতারকরা। এখন এমন ব্যবহারকারীদের টার্গেটও করছে, যারা ইনস্টাগ্রামে প্রচুর কনটেন্ট (ভিডিও বা রিল) পোস্ট করেন। তারপর স্ক্যামাররা যে কোনো একটি ভিডিও কিংবা রিলকে কেন্দ্র করে মেসেজ পাঠাচ্ছেন। যেখানে বলা হচ্ছে যে, আপনার অ্যাকাউন্টটিতে এমন কিছু রয়েছে, যা কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এরপর সেই ব্যক্তিকে একটি ফর্ম পাঠানো হয়। এই ফর্মটি পূরণ করার জন্য একটি লিঙ্কও শেয়ার করা হয়। ইনস্টাগ্রামে অনেক বেশি ফলোয়ার রয়েছে এমন যে কোনো ব্যবহারকারী এই মেসেজটি দেখার পর ভয়ে ফর্ম ফিলআপ করে ফেলছেন। তারপরই সেই অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করে ফেলা হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহারে যেভাবে সতর্ক হোন
# ভুলেও এমন কোনো অজানা লিঙ্কে কখনও ক্লিক করবেন না।
# কোনো অজানা ব্যক্তির সঙ্গে আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম, আইডি কিংবা পাসওয়ার্ড কখনও শেয়ার করবেন না।
# কেবলমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্রাউজ করুন। মনে রাখবেন, স্ক্যামাররা নকল লগ-ইন পেজ তৈরি করতে পারে। লিঙ্কটি যদি খুলে ফেলেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ইউআরএলটি চেক করতে হবে।
# এছাড়াও এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য টু-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণের অপশনও রেখেছে। আপনি অ্যাপের সেটিংসে যান ও এই ফিচারটি চালু করে ফেলুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org