দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক কৃষি সহায়তামূলক প্রকল্পের অধীনে চাঁদপুরে কৃষি উদ্যোক্তা সমাবেশ এবং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলা হতে প্রায় আড়াইশ কৃষি উদ্যোক্তা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপায়-ইউসিবির উপদেষ্টা জিষ্ণু রায় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানী সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান (জুয়েল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত এবং পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউসিবি ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রশিক্ষণার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি আমাদের এই কৃষি খাত। এই খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক নিজেদের কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষিখাতে যে সহায়তামূলক প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’ গ্রহণ করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অন্যসব ব্যাংকও যদি এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে কৃষিখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, কৃষিতে তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক পেশায় পরিণত করতে হবে। সেজন্য কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। কৃষি উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি খালি জায়গাও অনাবাদী রাখা যাবে না। এই কৃষি ক্ষেত্রটা যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশ কৃষিতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিদেশেও খাদ্য রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষকদের মুখ্য ভূমিকার উপর জোর দেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান। তিনি তাঁর বক্তৃতায় টেকসই কৃষির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়নে ইউসিবির অবদানের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রায়োগিক দক্ষতার উন্নয়ন, বাজার এবং বিপণন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কৃষিঋণ সংক্রান্ত নীতিমালা এবং সুদের হারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা প্রদান করা হয়।
ভরসার নতুন জানালা প্রকল্পের আওতায় ইউসিবি ইতিমধ্যে ৫৫ হাজার তাল এবং অন্যান্য গাছ রোপণ, ৩ হাজার কৃষি উদ্যোক্তার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, কৃষকদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত স্মার্ট ডিভাইস (আরও বেশি মাছ) সরবরাহ ও তামাকের বিকল্প ফসল গম এবং ভুট্টা চাষে অনুপ্রাণিত করার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org