দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ত্বক ও চুলের জেল্লা ধরে রাখতে অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান। অথচ এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্পও হতে পারে কয়েকটি খাবার!
অর্থাৎ ক্যাপসুলের উপর ভরসা না করেও শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। জেনে নিন, কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখলে শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি আর হবে না।
ভিটামিন ই শরীরের জন্য নানা উপকার করে থাকে। হাড়ের যত্ন নেয়, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা রোধ করে, বার্ধক্যজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে এই ভিটামিন ই। ত্বক ও চুলের যত্নে অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে, কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে এটি ব্যবহার করে থাকেন। খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই শরীরে না পৌঁছালে ক্যাপসুল খেয়ে থাকেন। তবে দাওয়াই বা ক্যাপসুলের উপর ভরসা না করেও শরীরে ভিটামিন ই’র ঘাটতি পূরণ করা যায়। তাহলে কোন কোন আনাজ কিংবা ফল প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি মোটেও হবে না। আজ জেনে নিন কয়েকটি খাদ্য সম্পর্কে।
চিনেবাদাম
সন্ধ্যার সময় হালকা খিদে পেলে চপ, শিঙাড়া না খেয়ে বাদাম মাখা বা শুকনো চিনেবাদাম খেতে পারেন। টুকটাক, অল্প খিদেতে চিনেবাদাম একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্পও হতে পারে। ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
ব্রকোলি
বর্তমান সময়ে সারা বছরই বাজারে এই সব্জি দেখা যায়। আয়রণ, ক্যালশিয়াম, ভিটমিন সি, ই এবং প্বারিয়োটিক ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ব্রকোলি। প্রতিদিনের ডায়েটে এই সব্জি রাখা ভীষণ স্বাস্থ্যকর। স্যালাডে বা সব্জি বানিয়ে ব্রকোলি খাওয়া যেতেই পারে।
পালং শাক
ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন ই’র ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পালং শাকে ভিটামিন ই রয়েছে। ভিতর হতে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে এই পালং শাক। তাছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা কমাতে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ডায়েটে এই শাক রাখাটা জরুরি।
অ্যাভোকাডো
সাম্প্রতিক সময় ডায়েট মেনে অনেকেই পাউরুটির উপর অ্যাভোকাডো স্প্রেড মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। ভিটামিন ই’র পাশাপাশি এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং পটাশিয়াম। এইসব উপাদানগুলো ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তাছাড়াও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখতে এই ফলটি নিয়ম করে খেতে পারেন।
কাঠবাদাম
প্রতিদিন সকালে উঠেই একমুঠো ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর। কেবলমাত্র ভিটামিন ই নয়, কাঠবাদামে প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামও যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এছাড়াও এই কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এইসব উপাদান ত্বকের জন্যও ভালো। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কাঠবাদামের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৪ 4:46 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…