দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের গ্রেট স্কলারশিপ বৃত্তি পেতে এখন আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাজ্য সরকারের গ্রেট ব্রিটেন ক্যাম্পেইন- দ্য গ্রেট স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অটাম ২০২৪ সেশন থেকে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাবেন।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ফাইন্যান্স, মার্কেটিং, বিজনেস, সাইকোলজি ডিজাইন, হিউম্যানিটিজ এবং ডান্স সহ অন্যান্য বিষয়ে এই বছর যুক্তরাজ্যের ৭১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর করার ক্ষেত্রে ১৫টি গ্রেট স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে টিউশন ফি হিসেবে প্রতিটি গ্রেট স্কলারশিপের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড অনুদান দেওয়া হয়।
তাছাড়াও, মিনিস্ট্রি অব জাস্টিসের অংশীদারিত্বে গ্রেট স্কলারশিপ ২০২৪ প্রোগ্রামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইন এবং বিচার বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য তিনটি বৃত্তি দেয়া হবে, যার মাধ্যমে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লিখিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী মানবাধিকার, সম্পত্তি আইন, ফৌজদারি বিচার এবং বাণিজ্য আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী তারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
সেইসঙ্গে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়া যাবে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এই বৃত্তির অধীনে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের যে কোনো একটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোবিজ্ঞানের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্জন উদযাপনের লক্ষ্যে কাজ করে গ্রেট স্কলারশিপ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সুযোগও প্রদান করে। প্রতিবছর সহস্রাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনে যুক্তরাজ্যে বেছে নেয়; এই ক্ষেত্রে, গ্রেট স্কলারশিপের লক্ষ্য হলো যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা ও সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ধারাবাহিক সহায়তা করা।
যেসব শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে আগ্রহী তাদের অবশ্যই এই বৃত্তি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে অফার অব এন্ট্রি পেতে হবে ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোর্সে অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। গ্রেট স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন: https://study uk.britishcouncil.org/scholarships-funding/great- scholarships
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org