দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যাচ্ছে জিমে গিয়েও ওজন কমছে না। বাড়তি ওজনে অন্যতম কারণই হতে পারে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়া। কীভাবে এই হরমোনের প্রভাবে ওজন বেড়ে যায়? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
নানা কারণে ঘরে-বাইরে বাড়তে থাকে কাজের চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যা নতুন কিছু নয়। সরকারি-বেসরকারি যে সংস্থাতেই কাজ করুন না কেনো, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যেদিয়ে যেতে হয় কম-বেশি সকলকে। শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রই নয়, পারিবারিক জীবন, সাংসারিক জীবন, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার শারীরিক সমস্যা মানসিক চাপ বৃদ্ধির কারণও হতে পারে। শারীরিক অন্যান্য জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা চোখে দেখা যায় না বলে সেটি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকেই। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণই হলো শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি।
রক্তে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কী হতে পারে?
# মানসিক চাপও বাড়িয়ে দিতে পারে এমন হরমোনই হলো এই কর্টিসল। এর মাত্রা বেশি হয়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, অস্টিয়োপোরোসিসের মতো সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
# কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে বিপাকহারও কমে যায়। সেইসঙ্গে এই হরমোনের প্রভাবে ঘন ঘন খিদে পেতে পারে। তাই হঠাৎ ওজন বেড়ে যেতে পারে কর্টিসল হরমোনের প্রভাবের কারণে।
# এই কর্টিসল শুধুমাত্র মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয় না, অনিদ্রাজনিত সমস্যার জন্যেও দায়ী এই হরমোনটি।
# কর্টিসল হরমোন অধিক ক্ষরণের কারণে যৌনজীবনের উপরেও প্রভাব ফেলে। এই হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে পুরুষদের লিঙ্গত্থানে সমস্যা হতে পারে, শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যায়, আবার যৌন ইচ্ছেও কমে যায়। মহিলাদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে, যে কারণে সন্তান ধারণেও সমস্যা হতে পারে।
# কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে হালকা চোট লাগলেও শরীরে কালসিটে পড়ে যেতে পারে। এছাড়াও এই হরমোনের প্রভাবে মুখ বা ঘাড়ের কাছে লোমের আধিক্যও বাড়ে।
কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা করবেন
# সারাদিন বদ্ধ ঘরের মধ্যে বসে থাকলে মনমেজাজ এমনিতেই খারাপ হয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, সূর্যের আলো কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই দিনের মধ্যে মাত্র আধা ঘণ্টা গায়ে রোদ লাগাতেই চলবে।
# হরমোন ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে বলেন চিকিৎসকরা। খুব পরিশ্রমসাধ্য ব্যায়াম না হলেও নিয়মিত হাঁটা, স্ট্রেচ করা, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার মতো কসরত কর্টিসল ক্ষরণের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
# মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডিপ ব্রিদিং অভ্যাস করতে বলেন অনেকেই। সুখাসনে বসে, শান্ত ও গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিকেই ডিপ ব্রিদিং বলা হয়ে থাকে। এই অভ্যাসে স্নায়ুর উত্তেজনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ৩, ২০২৪ 11:47 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…