দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) পাবনা জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২৫০জন নির্বাচিত কৃষিউদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করলো।
ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম ভুঁইয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং কৃষি তথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপক মো. আমানুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “দেশের যুবসমাজ এবং কৃষককে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার দিকে মনোযোগী হতে হবে। পোলট্রি শিল্প এবং মাছ চাষে ব্যাপক উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা সৃষ্টি করা গেলে পুষ্টি জোগানের পাশাপাশি গ্রামীণপর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির কাজে সফল হলে একদিকে যেমন দারিদ্র্য দূরীভূত হবে, অপরদিকে জাতীয় অর্থনীতিও শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পাবে। সে জন্য উদ্যোক্তা তৈরি, তাদের উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার। আমরা ইউসিবি কৃষি উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তাদেরকে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা আমাদের ব্যাংককে কৃষি উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যাংকে পরিণত করতে চাই।“
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষিখাতে সহায়তা প্রদানের জন্যই ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজনও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৪৪টি জেলায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এইসব প্রশিক্ষণে সহজ শর্তের কৃষি ঋণ বিতরণ এবং কৃষি প্রণোদনা সহায়তা দেওয়ার পথ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, উন্নত এবং সমৃদ্ধ কৃষির বিকাশে সহজ শর্তে ও মানবিক অর্থায়নের সুযোগ সম্প্রসারিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org