দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা আগে কখনও বোধহয় শোনা যায়নি। প্রাক্তন স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই নতুন সঙ্গীর সঙ্গে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন ৩৮ বছর বয়সি এক নারী ক্রিস।
তার টার্গেটই ছিলো প্রাক্তন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠ পেরোবেন। বিয়ের আগেই শর্ত রেখেছিলেন কনে। সেই শর্ত মেনেই বিয়ে হয়েছে। প্রাক্তনকে সঙ্গে নিয়েই নতুন সঙ্গীর সঙ্গে জীবন শুরু করলেন ৩৮ বছর বয়সি নারী ক্রিস। আমরা সবাই জানি বিয়ের পর নতুন জীবন শুরু হয় মেয়েদের। পরিজনদের ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্য বাড়িতে, ভিন্ন এক পরিবেশে। নতুন করেই শুরু করতে হয় সব কিছু। কিন্তু প্রাক্তন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান স্বামীর ঘর করার ঘটনা এই প্রথম।
২০০৬ সালের কথা। বাল্যবন্ধু ব্র্যান্ডনের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন ক্রিস। দু’জনেই বেশ সুখে সংসার করছিলেন। কয়েক বছর পর হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে তাদের। এক গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন ব্র্যান্ডন। এই দুর্ঘটনায় মানসিক স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলেন। সেই সময় ব্র্যান্ডনের পাশে ছিলেন ক্রিস। কীভাবে ব্র্যান্ডনকে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলা যায়, সেই চেষ্টাও করতেন তিনি। তবে কয়েক মাস পরেই মন বদলে যায় ক্রিসের। ব্র্যান্ডনের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। অন্য সম্পর্কেও জড়িয়ে প়ড়েন আবার। নতুন করে জীবন শুরু করার কথাও ভাবেন তিনি। কিন্তু ক্রিস বুঝেছিলেন ব্র্যান্ডনের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক না থাকলেও তাঁকে একা কখনও ছেড়ে দিতে পারবেন না। হবু স্বামী জন আর্মস্ট্রংকে পুরো বিষয়টি খুলেও বলেন ক্রিস। জন হবু স্ত্রীর মনের অবস্থা বুঝতে পারেন। তাই তিনি সম্মতিও দেন।
আর তাই বিয়ের পর প্রাক্তনকে সঙ্গে নিয়েই শ্বশুরবাড়ির চৌকাঠ পেরোন ক্রিস! প্রাক্তন ও বর্তমানকে নিয়ে সংসার শুরু করেন তিনি। তবে একসঙ্গে থাকতে থাকতে জনের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয়ে গেছে ব্র্যান্ডনের। ওই দুর্ঘটনার পর এখনও ঠিক করে সেরে ওঠেননি ব্র্যান্ডন। তবে প্রাক্তন স্ত্রী ও তাঁর বর্তমান স্বামীর শুশ্রূষায় ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে রয়েছেন তিনি! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org