দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রতিক্ষীত ছবির খাতায় নাম লেখালো ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’। ১৯ মার্চ ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সিনেমাটির প্রেস শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই সময় সিনেমাটির নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী, প্রযোজক কাজী সাইফুল ইসলাম, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, মোহাম্মদ বারী, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ মার্চ নারী দিবসে অনলাইনে অবমুক্ত হয় নারীপাচারকে কেন্দ্র করে নির্মিত ছবিটির টিজার। ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের টিজারে ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে দু’জন পৃথক শ্রেণি এবং জায়গার নারীর গল্পের আবহ। নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার জগতের মানুষদের পাশাপাশি ‘মেঘনা কন্যা’র টিজারে রয়েছে শহুরে নারীর অসহায়ত্বের গল্পের ইঙ্গিত।
তবে নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী মনে করেন, ‘নারী পাচারের মতো একটি কঠিন বিষয়ের সঙ্গে গ্রামীণ পটভূমিতে বলা সিনেমাটির গল্পে রয়েছে দর্শকের জন্য পর্যাপ্ত বিনোদনও।’ সে কারণে ঈদের উৎসবমুখর আবহে ‘মেঘনা কন্যা’ দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার মতো সব উপাদান নিয়ে আসছে বড়পর্দায়। খুব শীঘ্রই আসবে সিনেমাটির গান এবং ট্রেলারও।
আনোয়ার আজাদ ফিল্ম‘স এবং এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির সহযোগিতায় রয়েছে সুইজারল্যান্ড ও টেলিভিশন পার্টনার দীপ্ত টিভি।
এই সিনেমায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি, সাজ্জাদ হোসেইনসহ অনেকেই। এতে সংগীতায়োজনে রয়েছেন চিরকুটখ্যাত সুমী। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান ও আহমেদ খান হীরক।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org