দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুই ভাই স্বপ্ন দেখতেন হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবেন। তবে অর্থের অভাবে সেটি পূরণ হচ্ছে না। সেজন্য গাড়িকে হেলিকপ্টারে পরিণত করেছেন এই দুই ভাই। ভারতের উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগরে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা! তবে বেআইনি হওয়ায় গাড়িটি এখন থানার শ্রীঘরে!
হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়, আম্বেদকর নগরের ভিটি তহসিল এলাকার খেজুরি বাজারের বাসিন্দা ঈশ্বরদিন এবং পরমেশ্বরদিন গাড়িকে হেলিকপ্টারে রূপান্তর করেছেন। জানা যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিয়েও করতে চলেছেন তারা। তাই পুরোদমে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। বিয়ের পর দুই ভাই হেলিকপ্টারের মতো গাড়িতে করেই কনেদের বাড়িতে আনতে চান। সে জন্য তারা তাদের পুরনো গাড়িটিকে হেলিকপ্টারে পরিবর্তন করেছেন। হেলিকপ্টার সদৃশ গাড়ি প্রস্তুত করার পর, ঈশ্বরদিন আকবরপুরে এটির ছবি আকার জন্য নিয়ে আসার পর, হঠাৎ গাড়িটি নজরে আসে পুলিশের।
পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে তাদের গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর জয় বাহাদুর যাদব বলেন, গাড়ির এমন পরিবর্তন বেআইনি। সে জন্য প্রথমে পরিবহন দপ্তর হতে তাদের অনুমতি নিতে হবে। তারপরই হেলিকপ্টার সদৃশ গাড়িটি আটক করেছে আকবরপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা গাড়িটি সিও সিটি অফিসের ক্যাম্পাসে রাখা হয়। সেখানে দিনভর ছিল দর্শকদের ভিড়।
এদিকে এই ঘটনার ভিডিও হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়। বেশিরভাগ মানুষ এর প্রশংসা করেন এবং এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি নিরাপদ জায়গা দেওয়ার অনুরোধও করেছেন। কেও আবার এমন গাড়ি বানানো বেআইনি বলে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টিকে মন থেকে মেনে নিতেই পারেননি।
একজন বলেছেন যে, ‘তাই বলি যে এই দেশটা ভালো নয়, দেশে নতুনত্বের কোনো জায়গাই নেই।’ অপরজনের দাবি, ‘আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি যেনো তারা তাদের উদ্ভাবনটি নিরাপদ জায়গায় ব্যবহার করার অনুমতি দেন।’
এদিকে পুলিশের এমন পদক্ষেপে দুই ভাই বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা বলেছেন যে, যানবাহন পরিবর্তনের নিয়ম সম্পর্কে তারা মোটেও সচেতন ছিলেন না। নববিবাহিত কনেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসার স্বপ্ন যেনো স্বপ্ন হয়েই রয়ে গেলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org