সন্তানধারণের পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে: প্রতিদিন সকালে কোন যোগাসন করলে সফলতা আসবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মা হওয়ার পূর্বে শরীরের চাই বিশেষ কিছু এক ধরনের প্রস্তুতি। সন্তানধারণের পূর্বে প্রতিদিন নিয়ম করে কোন কোন আসন করলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে সেটি আজ জেনে নিন।

চিকিৎসকদের মতে, ওজন বেশি হলে গর্ভধারণ করা যায় না, এমনটি একবারেই নয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন বেশি হলে নানা প্রকার শারীরিক সমস্যা দেখা দিতেই পারে। অতিরিক্ত ওজন রক্তে শর্করার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা যায় সেই কারণে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাড়তি ওজনের কারণে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সন্তানধারণের পূর্বে ওজন বাগে আনাটা জরুরি। এছাড়াও অনেকেই ঋতুচক্র স্বাভাবিক হয় না, সন্তানধারণের পূর্বে সে দিকেও নজর দেওয়া দরকার। এই সময় মহিলাদের কোনও রকম মানসিক চাপ থেকে নিজেদের দূরে রাখাটা জরুরি। মা হওয়ার আগে শরীরের চাই বিশেষ কিছু প্রস্তুতিও। যোগাসনের মাধ্যমেই এইসব সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব। আজ জেনে নিন, সন্তানধারণের পূর্বে প্রতিদিন নিয়ম করে কোন আসন করলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে।

ভুজঙ্গাসন

Related Post

প্রথমেই মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দু’পাশে রাখুন। কোমর হতে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। তারপর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ৩-৪ বার এই আসনটি চাইলেই করতে পারেন। পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এই আসনটি।

মালাসন

প্রথমেই মাটিতে বসুন। এরপর দুই পা দু’দিকে দিয়ে উঁচু হয়ে বসুন। দু’পা যথাযথভাবে সম্ভব কাছাকাছি রাখুন। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে রাখতে হবে। টানা ৩/৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।

মার্জারাসন

আপনাকে প্রথমেই মাটিতে দুই পা ও হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করতে হবে। তারপর এক বার পিঠ ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস নিন, আবারও পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্তত ৫ মিনিট।

বীরভদ্রাসন

প্রথমেই দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়াতে হবে। হাত যেনো একদম সোজা এবং মুখ আকাশের দিকে থাকে। তারপর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করুন। পিছনের পা এবং শরীর সোজা রেখে এখন উপরের দিকে তাকান। ২০ সেকেন্ড মতো স্থির হয়ে থেকে তারপর বিশ্রাম নিন।

পদহস্তাসন

প্রথমেই সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর আস্তে আস্তে পা দুটো সামান্য ফাঁক করুন। ভালো করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো উপরের দিকে তুলুন। এখন আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ একেবারে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। এবার হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই হাঁটু যেনো না ভাঙে। ২০/৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on এপ্রিল ৩, ২০২৪ 3:10 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সন্তানের শরীরচর্চা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে জিম, যোগাসন ও আর যা শেখানো যেতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পড়াশোনার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে চোখ রাখতে…

% দিন আগে

ডিবিএইচের ময়মনসিংহ শাখা উদ্বোধন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী স্পেশালিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি…

% দিন আগে

পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলো সরান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রবিবার (১২ মে) সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায়…

% দিন আগে

তাহসান দীর্ঘ ৮ বছর পর আবারও নতুন করে গাইলেন ‘কে তুমি’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৮ বছর পূর্বে ‘কে তুমি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন জনপ্রিয়…

% দিন আগে

তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলকে কড়া সতর্ক করলো ইরান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হওয়ার শঙ্কার…

% দিন আগে

কেবলমাত্র এক শতাংশ মানুষ এই ধাঁধার সমাধান করতে পারবেন! তাহলে কী সেই ধাঁধা?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাইব্রেরিতে টেবিলের সামনে বই নিয়ে বসে…

% দিন আগে