স্ত্রীকে ট্রেনে ছাড়তে এসে ট্রেনের ভিতরেই আটকে গেলেন এক স্বামী!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোটা ট্রেনে তখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন মানুষটি। অবশেষে টিকিট পরীক্ষককে তিনি খুঁজে পেলেন। তাকেই জানালেন সমস্যার কথাটি। তবে তিনিও অপারগ। মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলেন যে, ওই দরজা আপাতত খোলা যাবে না।

ভারতের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে এক ‘বিরল’ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন এক দম্পতি! স্ত্রীকে ট্রেনে ছাড়তে এসেছিলেন স্বামী। ভারতের গুজরাতের ভাদোদরা হতে মুম্বাইয়ে যাবেন স্ত্রী। অনেকটা পথই একা সফর করবেন। যাচ্ছেনও অনেক দিনের জন্যই। তাই দু’জনের কথা শেষই হচ্ছিল না। সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলোকে সরিয়ে স্ত্রীর জন্য জায়গা ফাঁকা করে দিচ্ছিলেন তার স্বামী। ঠিক এই সময়ই হঠাৎ একটা দুলুনি পেলেন। ট্রেন ছেড়েছে বুঝতে পেরে দৌড়ে দরজার কাছে এলেন ওই স্বামী। তবে তখন আর কিছুই করার নেই। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে ততোক্ষণে। অন্য ট্রেনের মতো ওই দরজা খোলার উপায়ও নেই।

গোটা ট্রেন তখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন ওই মানুষটি। অবশেষে টিকিট পরীক্ষককে খুঁজেও পেলেন। তাকেই জানালেন তার সমস্যার কথা। তবে তিনিও নাচার। মাথা নেড়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, ওই দরজা আপাতত খোলা সম্ভব না। এছাড়াও ট্রেনের গতি এখন অনেক বেশি হয়ে গেছে। যে কারণে আরে থামানো যাবে না। ওই ট্রেনটি থামবে পরবর্তী স্টপেজে। যা ভদোদরা থেকে অনেকটা দূরে- সুরতে। হাজার অসুবিধার কথা শুনিয়েও কিছুই করতে পারলেন না মানুষটি।

Related Post

রাতে যে পোশাক পরে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীকে ছাড়তে এসেছিলেন সেই পোশাকেই। স্টেশনে ঢোকার আগে গাড়ি পার্ক করে রেখেছিলেন স্টেশনেরই কাছেই একটি জায়গায়। সম্ভবত বাড়িও সেভাবে ভালোভাবে বন্ধ করে আসেননি। তবে তাতে কী? রেল কর্তৃপক্ষ বা বন্দে ভারত ট্রেনের কিছুই যায় আসে না। সে তার নিয়মেই চলা শুরু করেছে।

মজার এই ঘটনাটির কথা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির মেয়ে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন যে, ‘‘মা আমার কাছেই আসছিলেন। এখন দেখছি বাবাও নাকি মায়ের সঙ্গে আসছে। তবে একজন মুম্বাইয়ে নামবেন। আর অপরজন নামবেন সুরতে।’’

তাদের কন্যা এক্সে দীর্ঘ পোস্টে বাবার সঙ্গে হওয়া একটি কথোপকথনের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, গুজরাতি ভাষায় তার বাবা লিখেছেন, ‘‘একই দিনে বন্দে ভারত দএবং শতাব্দীতে যাতায়াত, প্রিমিয়াম জার্নি যাকে বলে!’’

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on এপ্রিল ৪, ২০২৪ 3:02 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

নিয়ম না মেনে হাঁটলে সুফল পাওয়া দুষ্কর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…

% দিন আগে

কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…

% দিন আগে

কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে আইফার্মার এবং উইনরক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…

% দিন আগে

তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…

% দিন আগে

এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…

% দিন আগে

এসএসসি’র ফল প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি’র ফলাফল হস্তান্তর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমান পরীক্ষার ফল…

% দিন আগে