দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মডেল ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের বয়স ৪৮ বছর। এখনও তিনি বিয়ে করেননি। যদিও বারবার প্রেমে পড়েছেন তিনি। সম্পর্ক নিয়ে তিনি বরাবরই খোলামেলা। তবে বিয়ের কথা উঠলেই তার মাথায় আসে নানা ধরনের ভাবনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন এবং বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। সুস্মিতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সঠিক পুরুষ জীবনে এলেই বিয়ে করবো!’ তাহলে প্রশ্ন হলো, প্রাক্তনরা কেওই সুস্মিতার কাছে সঠিক পুরুষ ছিলেন না!
সুস্মিতা প্রায়শই ভারতের সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ ও চাকচিক্যময় নারী হিসাবে পরিচিত, সুস্মিতা সেন “রেনী” নামে এক মেয়ে শিশুকে ২০০০ সালে দত্তক নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে একাকী নারী হিসেবে, শিশু দত্তক নেওয়ায় অভিভাবকত্ব নিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তবে মুম্বাই আদালত তাদের আবেদন রদ করে ও সুস্মিতা জয়লাভ করেন। ১৩ জানুয়ারী, ২০১০ সালে সুস্মিতা “আলিশা” নামে তিন মাস বয়সী মেয়ে শিশুকে দত্তক নেন।
সুস্মিতা সেন ১৯৯৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া-এর মুকুট জয় করেন ও পরে মিস ইউনিভার্স (১৯৯৪)-এর মুকুট জয় করেছিলেন। তিনি প্রথম বাঙালি তথা প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয়লাভ করেন।
মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য পরিচিতি লাভ করলেও তিনি তামিল এবং বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি দু’টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কারও অর্জন করেছেন।
১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ সিনেমা থেকে বলিউডে পা রাখেন সুস্মিতা সেন। প্রথম সিনেমা বক্স অফিসে একেবারেই ফ্লপ হয়। তবে রুপালি পর্দায় সুস্মিতার রূপের ঝলকানি বেশ নজর কাড়ে। এরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে, সেভাবে বলিউডে মাটি শক্ত করতে পারেননি সুস্মিতা সেন।
সেই সময় সুস্মিতার সঙ্গে নাম জড়ায় অভিনেতা রণদীপ হুডার। শোনা যায় যে, রণদীপের সঙ্গে নাকি লিভ ইন রিলেশনশিপেও ছিলেন সুস্মিতা সেন। তবে তার সেই প্রেম খুব বেশিদিন টেকেনি। তারপরই সুস্মিতার জীবনে আসেন কাশ্মীরি এক মডেল রোহমান শল। বেশ কয়েক বছর রোহমানের সঙ্গে প্রেম করে হঠাৎ বিচ্ছেদও ঘটে।
দু’বছর পূর্বে হঠাৎই রটে যায় যে, ললিত মোদির সঙ্গে নাকি বিয়ে সেরে ফেলেছেন সুস্মিতা সেন! এমনকি ভাইরাল হয় লোলিতের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ বেশ কয়েকটি ছবি। তবে সুস্মিতা এই খবরকে একেবারেই নাকচ করে দেন। এরপরই সুস্মিতার প্রেমের গল্পে টুইস্ট। আবারও সুস্মিতার জীবনে এন্ট্রি নেন সেই রোহমান শল। এখন তারা দু’জনে একসঙ্গেই রয়েছেন।
বিয়ে করছেন কবে? এই নিয়ে সুস্মিতা জানিয়েছেন যে, বিয়ে করার জন্য আমি কখনই সামাজিকভাবে চাপ কিংবা বয়সের চাপকে পাত্তায় দিই না। তার চেয়ে বরং আমি সঠিক মানুষটাকেই বেশি গুরুত্ব দিই। যেদিন এমন কোনো পছন্দের পুরুষ মানুষ জীবনে আসবে, যাকে দেখে মনে হবে, হ্যাঁ, একেই আমার বিয়ে করা যায়, তখনই করবো। তার আগে এই বেশ ভালোই আছি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org