দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই রোগটি সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন। ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ নামে বেশি পরিচিত হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে ‘অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’ বলা হয়ে থাকে।
হয়তো আপনি রাতে দিব্যি ঘুমিয়েছেন। তবে সকালবেলা চোখ খোলার পর হাতই নাড়তে পারছেন না। কাঁধ এমন শক্ত হয়ে গেছে যে, নড়াচড়া করার উপায়ও নেই। রোগটি সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন। ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ নামে বেশি পরিচিত হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে ‘অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’ বলা হয়ে থাকে। এই রোগটিতে আক্রান্ত হলে ঘাড়, কাঁধের পেশি ও অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, যে অস্থিসন্ধি দ্বারা বাহু এবং কাঁধ সংযুক্ত থাকে, সেই অস্থিসন্ধিতে অবস্থিত হাড়, লিগামেন্ট এবং টেনডনগুলো কিছুটা ক্যাপসুলের মতোই এক প্রকার টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই ক্যাপসুল ফুললে কিংবা শক্ত হয়ে গেলে ফ্রোজেন শোল্ডারও দেখা দিতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনাটি ঘটে, তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরাও।
চিনবেন কী দেখে?
ফ্রোজেন শোল্ডারের ব্যথা শুরু হয় কাঁধ থেকেই। এরপর ক্রমে সেই ব্যথা নেমে আসে হাত পর্যন্ত। হাত নাড়তে কিংবা তুলতে অসুবিধাও হয়। অনেকের এই ব্যথা কমে এলেও একটা পর্যায়ের পর হাত উপর দিকে ওঠে না বা পিছন দিকে ঘোরানো যায় না। মোট কথা হলো, আর পেশির নমনীয়তা একেবারেই নষ্ট হয়ে আসে।
মুক্তি মিলবে কীভাবে?
অবশ্য সাধারণত কিছু সময় পর নিজে থেকেই এই ধরনের ব্যথা কমে আসে। তবে তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ক্ষেত্র বিশেষে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমানোর ওষুধ বা ফিজিয়োথেরাপির সাহায্যও নিতে হয়। ব্যথা কমলে সাধারণ কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org