দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন, শরীরে টক্সিন জমে শুধুমাত্র অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার কারণে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বের করতে ৭ দিন ৭ রকম ডিটক্স পানীয় খেয়ে থাকেন। তবে তাতেও শুধু শরীর বিষমুক্ত হতে পারে।
নিত্যদিন নানা রকম ঘটনায় মনও ভারাক্রান্ত হয়। দিনের পর দিন ধরে চলা এই ধকল সামলাতে না পারলেই শরীরে, মনে টক্সিন জমে যায়। অনেকের ধারণা যে, শরীরে টক্সিন জমে শুধুমাত্র অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার কারণে।
# মেনে নেওয়া ও মানিয়ে নেওয়ার মধ্যেও শাান্তি রয়েছে। অতীতে কী হলো না কিংবা কেনো হলো না, সেইসব ভেবে মনকে কষ্ট দেওয়ার কোনও মানেই নেই। মন ভালো না থাকলে শরীরও বিগড়ে যেতে পারে।
# আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করুন। তবে যে প্রশ্নের কোনও উত্তরই নেই, তা কখনও খুঁজে বেড়াতে যাবেন না। বরং আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কী করলে আরও উন্নতি করা সম্ভব হবে, সেই উত্তরের খোঁজও করতে পারেন।
# নেটমাধ্যমে যা হচ্ছে, তার সবটা নখদর্পণেই রাখতে হবে, না হলে আপনাকে আরও পিছিয়ে পড়তে হবে, এই মনোভাব বর্জন করতে পারলে ভালো হবে। যে সব বিষয় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, তাকে জীবন থেকে ‘আনফলো’ করে ফেলতে পারলে অনেক আরামও লাগবে।
# লিখতেও পারেন। এর জন্য ভাষা বিশারদ হতে হবে, এমন কিন্তু নয়। বরংচ মনের মধ্যে যা আসছে, তা সহজভাবে লিখে ফেলুন। সারাদিন কী করলেন, কী করতে পারলেন না- সবই লিখে রাখাও যেতে পারে। তাতে মন শুদ্ধ হবে।
# যদি হাতে কিছুটা সময় থাকে, তাহলে দিন শুরু করতে পারেন ধ্যানের মাধ্যমে। কাজ থেকে ফিরে রাতে শোয়ার আগেও ইচ্ছে করলে ধ্যান কিংবা মেডিটেশন করা যেতে পারে। ঘুমোনোর আগেই হোক কিংবা দিনের শুরুতেই হোক, মন শান্ত রাখাটা জরুরি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ৯, ২০২৪ 5:38 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…