দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেমেন্ট প্রযুক্তিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাব্বির আহমেদ। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে ব্যাংকিং এবং পেমেন্ট খাতজুড়ে তার ২৭ বছরের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন তিনি ঢাকা অফিসের যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তিনটি দেশে ভিসার সামগ্রিক কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিবেন।
সাব্বির আহমেদের নিয়োগের মধ্যদিয়ে নেপাল এবং ভুটানের পাশাপাশি, বাংলাদেশের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলো ভিসা; একইসঙ্গে বাংলাদেশে নিজেদের শক্তিশালী ব্যবসায়িক অবস্থানের ইঙ্গিত দিলো প্রতিষ্ঠানটি। ডিজিটাল বাংলাদেশের চাহিদা পূরণে সর্বাধুনিক পেমেন্ট সমাধান নিয়ে আসতে ভিসা ধারাবাহিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্টের পরিধি বাড়াতে নিরলস কাজ করছে ভিসা- গ্রাহকরা এখন ওয়ালেটে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ প্রদান করতে পারছেন। বিজনেস পেমেন্ট সল্যুশন প্রোভাইডার (বিপিএসপি) নিয়ে আসার মাধ্যমে এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও ভিসা কার্ডে পেমেন্ট নিতে পারবেন। পাশাপাশি, তৃণমূলের জনগোষ্ঠীকে সক্ষম করে তুলছে স্মার্ট ফার্মার্স কার্ড। এখন সাব্বিরের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় ডিজিটাল পেমেন্টের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে চায় ভিসা।
ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সাব্বির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ এবং বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠান ভিসায় যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নতুন এই দায়িত্বের মধ্য দিয়ে আমি সরকার নির্ধারিত ক্যাশলেস সোসাইটির লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাবো। নেপাল ও ভুটানের ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবো আমরা। গ্রাহক এবং ব্যবসার জন্য উদ্ভাবনী ডিজিটাল-ফার্স্ট পেমেন্ট সল্যুশন নিয়ে আসতে ইকোসিস্টেমের বিকাশে কাজ করে যাবো বলে আশাবাদী; যা বাংলাদেশ ও আশপাশের বাজারে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।”
ভিসা ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার সন্দীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে সাব্বির আহমেদেকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। তার পেশাগত অর্জনের প্রত্যয়, ব্যাংকিং অভিজ্ঞতার বিস্তৃতি এবং বাজার যোগাযোগের গভীরতা আমাদের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক লক্ষ্যপূরণকে গতিশীল করবে ও ভিসার টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।”
সাব্বির বাংলাদেশ ও নেপাল এবং ভুটানের মতো অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় বাজারে ভিসার ব্যবসায়িক অগ্রাধিকার নিশ্চিতে কাজ করবেন। তিনি এবং তার স্থানীয় টিম গ্রাহক, অংশীদার, নিয়ন্ত্রক ও ইকোসিস্টেমে অংশগ্রহণকারীদের সাথে ভিসার সম্পর্ক বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবেন। একইসঙ্গে, তিনি ভিসা ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার লিডারশিপ টিমের অংশ হিসেবে কাজ করবেন।
সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক হতে ভিসায় যোগদান করেন। সেখানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে, তিনি এইচএসবিসিতে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের সিনিয়র লিডারশিপ অবস্থানে কাজ করেন। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতেও (বিএটি) কাজ করেছেন। সাব্বির দেশের ব্যাংকিং খাতের অত্যন্ত সুপরিচিত একটি নাম; স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংকিং এবং আর্থিক সেবাখাতে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org