দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা যশ। যিনি সবার কাছেই যশ নামেই পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম নবীন কুমার গৌড়। তার প্রথম পারিশ্রমিক ছিলো ৫০ রুপি। অথচ বর্তমানে প্রতি ছবিতে তিনি নেন ২০ কোটি!
অভিনয় করার স্বপ্ন ছিলো ছোট থেকেই। তবে অভাবের সংসারে সেই স্বপ্ন পূরণ করা তার জন্য এক দু:সাধ্য ব্যাপার ছিলো। তাই মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ রুপি নিয়ে পালিয়ে চলে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। আর তখন থেকেই তার লক্ষ্য স্বপ্নপূরণের।
সেদিনের সেই নবীন কুমার গৌড়ই হলেন আজকের ‘রকিং স্টার’ যশ। শুধু তা-ই নয়, মাত্র ৩০০ রুপি নিয়ে বাড়ি থেকে পালানো এই তারকার এক চলচ্চিত্র থেকেই আয় হয় ২০০ কোটি রুপিরও বেশি!
২০১৮ সালে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ওয়ান’ তারপর হুড় হুড় করে বেড়েছিল তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। পার্শ্বচরিত্র দিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করা যশ বর্তমানে প্রতি সিনেমার জন্য পারিশ্রমিক নেন প্রায় ২০ কোটি রুপি। অথচ বাড়ি থেকে পালিয়ে বেঙ্গালুরুতে আসার পর তার পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ৫০ রুপি।
বেঙ্গালুরুতে এসে কাজ শুরু করেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। তবে কাজটি বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ করেই। তারপর তিনি শুরু করেন এক নাট্যদলের মঞ্চের পেছনে সহকারী হিসেবে। তারজন্য তিনি দৈনিক পারিশ্রমিক পেতেন মাত্র ৫০ রুপি। সেই অভিনেতাই ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ ছবিটি থেকে ২০০ কোটি রুপি আয়ের রেকর্ডও গড়েছেন।
ক্যারিয়ারের শুরু হতেই খুব কম সিনেমায় অভিনয় করতেন যশ। তবে যেসব সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন, সেখানে তিনি তার দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। ২০০৮ সালের ‘রকি’ সিনেমা দিয়ে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে যশের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন কন্নড়ের এই তারকা। তারপর ‘কেজিএফ’ ওয়ান এবং টু দুই কিস্তি দিয়ে তো নিজেকেও ছাড়িয়ে গেছেন যশ। তাছাড়াও মুক্তির প্রতিক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত ‘রামায়ণ’। যেখানে রাবণের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। -পিঙ্কভিলা
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org