দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেরি করে স্কুলে আসায় শিক্ষিকাকে বেদমভাবে মারধর করেছেন অধ্যক্ষ! ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষিকা গুঞ্জন চৌধুরী স্কুলে দেরিতে আসায় তাকে মারধর করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নারী অধ্যক্ষ। এই সময় ভুক্তভোগীর জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগও আনা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করছেন। এই সময় তার জামা অধ্যক্ষের হাতে আটকে থাকতে দেখা গেছে। তার ড্রাইভার প্রথমে তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তখন ড্রাইভারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন অধ্যক্ষ।
ভিডিওতে কাওকে বলতে শোনা যায়, ‘ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করা হবে, ম্যাডাম আপনি অভদ্র আচরণ করছেন। এটি কি আপনার সঙ্গে মানায়?’ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা আহত হন বলে ভিডিওতে দাবি করেছেন তার সহকর্মী।
ভিডিওতে ভুক্তভোগীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায় যে- ‘বেশরম নারী’। তারপরই তার বিরুদ্ধে স্কুলে দেরীতে আসার অভিযোগ করেন তিনি।
ঝগড়ার সময় উভয়ই অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন যা কোনোভাবেই তাদের পেশার সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়।
ঝগড়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অধক্ষ্যকে বলেন যে, ‘মার কে দিখাদে আগর দম হ্যায় তো (অর্থাৎ সাহস থাকলে মেরে দেখান)। কেয়া কার লেগাতু অর তেরা ড্রাইভার (অর্থাৎ আপনি ও আপনার ড্রাইভার কী করবেন)।’
তখন অধ্যক্ষ বলেন, ‘কিসিকি দাদাগিরি নাহি চলেগি ইয়াহা (অর্থাৎ এখানে কারও কোনো দাদাগিরি চলবে না)।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org