দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ”রাখে আল্লাহ মারে কে’ কথাটি আবারও প্রমাণ হলো। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের চেন্নাইয়ে। মাত্র ৮ মাস বয়সী এক শিশু চার তলা থেকে পড়ে গিয়েও দোতলার কার্নিশে আটকে যায়, পরে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়!
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, এক আবাসিকের ক্যামেরায় তোলা ওই ভিডিওতে দেখা যায় যে, দোতলার টিনের কার্নিশ থেকে কোনও রকমে আটকে রয়েছে ওই একরত্তি শিশু। তখনও পা কার্নিশের বাইরে ঝুলছে।
আবাসনের চার তলা থেকে পড়ে গিয়েছিল ওই ৮ মাসের শিশু! আটকে ছিল দোতলার টিনের কার্নিশে। সেই শিশুকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন পার্শ্ববর্তী মানুষরা। সম্প্রতি ভারতের চেন্নাইয়ের আভাদি এলাকার একটি আবাসনে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। পুরো ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
তবে ভিডিওতে দেখা যায় উপর থেকে পড়ে গিয়ে দোতালার কার্নিশে ঝুলছে একটি শিশু। বিষয়টি দেখে তড়িঘড়ি করে সবাই নিচে চাদর টানা দিয়ে ধরেছেন স্থানীয়রা। যাতে করে শিশুটি পড়লে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়। ইতিমধ্যেই ২/৩ জন কার্নিশে উঠে শিশুটিকে উদ্ধার করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সে এক লোমহর্ষক সিনেমার মতো দৃশ্য! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
দেখুন এক্স এর ভিডিওটি
Dramatic rescue of a toddler in Chennai! Good samaritans came together to save the seven-month-old baby who accidentally slipped from the fourth floor and landed on a window porch. The incident took place at a high-rise apartment society in Thirumullaivoyal. pic.twitter.com/O7QDOaIMkW
— Sachin (@Sachin54620442) April 28, 2024
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org