দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) (২০২৪-২০২৬) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন গতকাল (৮মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যায় বেসিস নির্বাচন কমিশন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবীর ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ৪টি ক্যাটাগরির মোট ১ হাজার ৪৬৪ ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১ হাজার ১৫৭ জন। যার মধ্যে বাতিল হয় ১৭টি ভোট। এছাড়াও ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বেসিসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বাধীন ওয়ান টিম। তবে সাধারণ ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৪০৫ ভোট পেয়েছেন টিম স্মার্ট দলনেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
ক্রম অনুযায়ী টিম ওয়ানের রাশিদুল হাসান পেয়েছেন ৩৮৮ ভোট, টিম স্মার্টের মীর শাহরুখ ইসলাম পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট, মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী পেয়েছেন ৩৫৭ ভোট, ওয়ান টিম দলনেতা রাসেল টি আহমেদ পেয়েছেন ৩৫৫ ভোট, এম আসিফ রহমান পেয়েছেন ৩৪৯ ভোট, ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান পেয়েছেন ৩৪১ ভোট ও দিদারুল আলম ৩২৫ ভোট পেয়ে কার্যনির্বাহী পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও সহযোগী সদস্য হিসেবে ওয়ান টিমের সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ পেয়েছেন ১২৩ ভোট; অ্যাফিলিয়েট হতে বিপ্লব ঘোষ ১২৮ ভোট ও আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে ড্র ভোটে লটারি শেষে সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে জেনারেল ক্যাটাগরির ৯৩২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৮১ জন (অর্থাৎ ৮৪%), অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরির ৩৮৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৫০ জন (অর্থাৎ ৬৪%), অ্যাফিলিয়েট ক্যাটাগরির ১৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১১৮ জন (অর্থাৎ ৮৮%) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরির ৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮ জন (অর্থাৎ ৮৯%)।
এবারের বেসিস নির্বাচনে ১১ পদে ৩৩ প্রার্থী ‘ওয়ান টিম’, ‘টিম সাকসেস’ ও ‘টিম স্মার্ট’ নামে ৩টি প্যানেলে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) নির্বাচিত ১১ জন পরিচালকের মধ্যে পদ বণ্টন করা হবে। আগামী ১১ মে বিকেল ৫টায় বেসিসের নতুন কমিটির ঘোষণা দিবেন নির্বাচন বোর্ড।
বেসিস নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল:
জেনারেল
১. মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ৪০৫
২. এম রাশিদুল হাসান ৩৮৮
৩. মীর শাহরুখ ইসলাম ৩৬৭
৪. মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী ৩৫৭
৫. রাসেল টি আহমেদ ৩৫৫
৬. এম আসিফ রহমান ৩৪৯
৭. ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল ডি) ৩৪১
৮. দিদারুল আলম সানি ৩২৫
৯. সৈয়দা নওশাদ জাহান প্রমি ৩২৪
১০. এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু ৩১২
১১. মো. নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ৩০৭
১২. মঞ্জুরুল আলম মামুন ৩০৬
১৩. লিয়াকত হোসেইন ২৯৮
১৪. এ এস এম রফিক উল্লাহ সানা ২৯১
১৫. কে এ এম রাশেদুল মজিদ ২৩৫
১৬. উত্তম কুমার পাল ২২৩
১৭. মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক ১৮৭
১৮. ইমরান হোসেন ১৮০
১৯. সৈয়দা নাফিসা রেজা বর্ষা ১৩৮
২০. মো. শফিউল আলম ১২১
২১. মো. সহিবুর রহমান খান রানা ১০৩
২২. তৌফিকুল করিম সুহৃদ ৯৬
২৩. ফারজানা কবির ঈশিতা ৬৬
২৪. অ্যাড. মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ ৬২
অ্যাফিলিয়েট
১. বিপ্লব ঘোষ (বিপ্লব জি রাহুল) ৪৮
২. আবদুল আজিজ ৪৬
৩. লুৎফি হায়দার চৌধুরী ২৩
অ্যাসোসিয়েট
১. সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ ১২৩
২. আরমান আহমেদ খান ৮৫
৩. এন এম রাফসান জানি সামির ৪১
আন্তর্জাতিক
১. সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ৩ (লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত)
২. আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ নোমান ৩
৩. এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস ২
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
Bengali 
English