দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি না টাটকা নাকি শুকনো? রান্নায় কী ধরনের পাতা দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা সব সময় টাটকা শাকপাতায় খেতে বলেন। তাহলে শুকনো পাতা বা ভেষজের মধ্যে কী টাটকা পাতার কোনও গুণই অবশিষ্ট থাকে না?
নিরামিষ তড়কা থেকে বাটার কিচেন— কসুরি মেথি না দিলে যেনো রান্নার স্বাদই খোলে না। আবার স্যালাড, পিৎজ়া বা পাস্তাতে শুকনো কিছু ভেষজ না দিলে কেমন যেনো ‘কী নেই কী নেই’ মনে হয় অনেক সময়।
সারাবছর সব ধরনের শাকপাতা বাজারে পাওয়াও যায় না। তাই টাটকা পাতা, ভেষজ বেছে ধুয়ে শুকিয়েও রাখেন অনেকেই। নিমের কচি পাতা, কালমেঘ পাতা শুকিয়ে বড়ি করে রাখার রেওয়াজ রয়েছে বহু দিনের। তবে পুষ্টিবিদরা সব সময় টাটকা শাকপাতা খেতে বলেন! তাহলে শুকনো পাতা বা ভেষজের মধ্যে কী টাটকা পাতার কোনও গুণই অবশিষ্ট থাকে না?
পুষ্টিকর উপাদান
টাটকা পাতার মধ্যে যেসব ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা শুকোনোর কারণে নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন- টাটকা অরিগ্যানোর চেয়ে, সেটি শুকিয়ে নিলে তারমধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
গন্ধ ও স্বাদ
কসুরি মেথি যেমন শুকিয়ে নিলে তার স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধি পায়। সেই পাতা শুকোনোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নাহলে পাতার গুণাগুণ, স্বাদ সবই বিকৃতও হয়ে যেতে পারে।
সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
টাটকা পাতা বেশিদিন সংরক্ষণও করা যায় না। ফ্রিজে রাখলেও দু’তিন দিন পর শুকিয়ে যেতে শুরু করে। বাজার থেকে কিনে আনা পাতা ধুয়ে, ভালো করে পানি না শুকিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিলে সেটি আবার পচেও যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ২১, ২০২৪ 5:39 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত চিকিৎসকরা বলেছেন, ত্বককে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে হলে ২-৩ ঘণ্টা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময় ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিতভাবে ভিডিও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিবারের মতো এবারও বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভি পবিত্র ঈদুল আযহা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের কাছেই সবচেয়ে আনন্দের দিন হলো ঈদ। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পোশাক আশাকেই মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে, যে জিনিসটি তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২ আষাঢ় ১৪৩১…