দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই প্যাকেটের দুধ কেনেন। এতে করে শুধু দুধ খাওয়াই সার হয়। বিশেষ কোনও লাভই হয় না। তাহলে উপায় কী? প্যাকেটজাত দুধের বদলে বেছে নিতে পারেন বেশ কিছু বিকল্প খাবার।
আমরা সবাই জানি সুস্থ থাকতে দুধ খাওয়ার জুড়ি নেই। দুধে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের বিশেষ যত্ন নেয়। হাড় ও দাঁত মজবুত করে। দুধের স্বাস্থ্যগুণের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য করোনার সময়ও পু্ষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।
প্রতিদিন যদি নিয়ম করে দুধ খাওয়া যায়, তাহলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা সম্ভব। বিশেষ করে বাড়ন্ত বয়সে দুধ খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শিশুর শারীরিক গঠনেও দুধের প্রয়োজন। তবে দুধেরও ভালমন্দও রয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন প্যাকেটজাত দুধ কেনেন। তবে তাতে নিয়মমাফিক দুধ খাওয়া হয় কিন্তু শরীর সঠিক পুষ্টিগুণ পায় না। তখন শুধু দুধ খাওয়াই সার হয়। বিশেষ কোনও লাভই হয় না। তাহলে কী উপায়? প্যাকেটজাত দুধের বদলে বেছে নিতে পারেন বেশ কিছু বিকল্পও। আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
গরুর দুধ
সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ— নির্ভয়ে গরুর দুধ খেতেই পারেন এবং যে কোনও বয়সেই। গরুর দুধের মতো উপকারী খাবার খুব কমই রয়েছে। এক কাপ গরুর দুধে থাকে ৮ গ্রামের মতো প্রোটিন। তাছাড়াও এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা একইসঙ্গে বিপাক হার আরও বাড়িয়ে তোলে। দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কাঠবাদামের দুধ
কাঠবাদামের দুধও এক স্বাস্থ্যকর পানীয়। প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিনসহ আরও অনেক উপাদান রয়েছে এই দুধে। অনেকেই রয়েছে যারা, ‘ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্ট’। তেমন হলে এই দুধে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়। এর স্বাদ যেমন লা জবাব, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকেও এর জুড়ি নেই। ওজন কমানো থেকে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা, এমনকি হাড় মজবুত করতেও কাঠবাদামের দুধ খুবই উপকারী।
সয়া দুধ
হাড় সুস্থ রাখতে এবং মজবুত করতে সয়া দুধ ভিষণ উপকারী। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম ও অন্যান্য উপকারী উপাদানে সমৃদ্ধ সয়া দুধ হাড়ের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও, দুধের বিকল্প হিসাবেও সয়া দুধ খেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org