দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কলার খোসা যদি খাওয়া যায়, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তবে সে জন্য আপনাকে খোসাসহ কলা খেতে হবে না। কলার খোসা দিয়ে বানাতে পারেন বেশ কিছু খাবার। কী কী বানাবেন এই কলার খোসা দিয়ে?
ফলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর হিসাবে কলার জুড়ি নেই। ওজন কমানো থেকে প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি— কলার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও কলায় পটাশিয়াম থাকার কারণে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারলে অনেক রোগবালাইয়ের ঝুঁকিও কমে যায়। তবে শুধু কলায় নয়, এর খোসাও সমানভাবে স্বাস্থ্যকর। আমরা জানি কলার খোসা জায়গা হয় ডাস্টবিনে। তবে এই খোসা যদি খাওয়া যায়, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তবে সেজন্য খোসাসহ কলা খেতে হবে না। খোসা দিয়ে বানাতে পারেন বেশ কিছু খাবারের আইটেম।
স্মুদি
আম, লিচু, তরমুজের স্মুদি খাওয়া হয়েই থাকে। তবে কলার খোসা দিয়ে কখনও স্মুদি বানিয়েছেন কী? বেশির ভাগের উত্তরই হবে, না। তাহলে কলা খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিতে হবে। চাইলে অন্য কোনও স্মুদির সঙ্গে এটি মিশিয়েও নিতে পারেন। তাহলে বেশি পরিমাণে ফাইবার, মিনারেলস ও ভিটামিন পাবে শরীর।
পাঁচমিশালি সব্জি
নানারকম সব্জি দিয়ে তরকারি মাঝে-মধ্যেই বা়ড়িতে রান্না হয়। সেই রান্নায় কলার খোসা থাকতেই পারে। এতে স্বাদের একটা বদলও আসবে। সেইসঙ্গে তরকারিও স্বাস্থ্যকর হয়েও উঠবে।
মাফিন
অনেকেই উৎসব-অনুষ্ঠানে বাড়িতে মাঝে-মধ্যেই কেক বানান। কেক বানানোর নতুন উপকরণ হতে পারে এই কলার খোসা। কলার খোসার ক্বাথ বানিয়ে কেকের মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে এরপর বেক করতে বসান। কেক সুস্বাদু হবে তো বটেই, স্বাস্থ্যকরও হবে।
আচার়
ইচ্ছে করলেই কলার খোসা দিয়ে দারুণ স্বাদের আচারও বানাতেই পারেন। সেজন্য কলার খোসাগুলো প্রথমেই ভিনেগার, চিনি ও বিভিন্ন মশলা মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। স্যালাড বা স্যান্ড উইচের সঙ্গে এই আচার বেশ ভালোই জমে উঠবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org