দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং ও ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য ও ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস ও ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান ও অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
হোয়াটসঅ্যাপ নতুন সিকিউরিটি ফিচার নিয়েও কাজ করছে। নতুন ফিচারের কারণে কেও প্রোফাইল পিকচারের স্ক্রিনশট নিতে পারবে না। যাকে প্রোফাইল ছবির গোপনীয়তাও বলা হচ্ছে। যা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন ব্যবহারকারী উভয়ের জন্যও কার্যকর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যান্ড্রয়েডে হোয়াটসঅ্যাপ বিটার সবশেষ আপডেট ভার্সন 2.24.4.25 ইতোমধ্যেই প্রোফাইল ছবির সিকিউরিটি ফিচার চালু করেছে। এই ফিচার কার্যকর করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তাও উন্নত হলো ও অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার কিংবা পাঠানোও সম্ভব হবে না।
এদিকে প্রোফাইল ছবির এই গোপনীতার ফিচার এখনও আইফোন ব্যবহারকারী সবার জন্যই কার্যকর হয়নি। তবে আইওএস (iOS) এর জন্য সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ বিটার ভার্সন 24.10.10.70 আভাস দেয় যে, প্রোফাইল ছবির এই গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করছে। হোয়াটসঅ্যাপও শীঘ্রই সব আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য ফিচারটি কার্যকর করতেও কাজ করছে।
জানা গেছে, ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া তাদের প্রোফাইল ছবি নেওয়া ও তা শেয়ার করা হতে অন্য ব্যবহারকারীকে বিরত রাখায় হোয়াটসঅ্যাপের মূল লক্ষ। যদিও ব্যবহারকারীরা অন্য প্রযুক্তি এবং ডিভাইসের মাধ্যমে ছবি তোলা, অ্যাপে স্ক্রিনশটও নিতে হবে। তবে অ্যাপটির নতুন এই ফিচার পুরোদমেই কার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অন্যের সম্মতি ছাড়া ছবি নেওয়া কিংবা স্ক্রিনশটও নেওয়া
তখন কঠিন হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org