দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ-ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-বিপিসিসিআই’র নতুন সভাপতি এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিপিসিসিআই) ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে হুমায়ুন রশীদকে সভাপতি নির্বাচিত করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত বিপিসিসিআই’র বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) হুমায়ুন রশীদকে নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
দেশের ব্যবসায়িক খাতে অত্যন্ত সুনাম ও সম্মানের সাথে কাজ করে আসছেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ। বর্তমানে তিনি বিপিসিসিআই’র নতুন সভাপতি হিসেবে সংগঠনটিকে নেতৃত্ব দেবেন। বিপিসিসিআই’র পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের অধীনে অর্জিত সাফল্যের ভিত্তিতে হুমায়ুন রশীদ আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি শক্তিশালী করতে এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবেন।
নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হুমায়ুন রশীদ বলেছেন, “আমি বিপিসিসিআই -এর সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করতে আমি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও নিবেদনের মাধ্যমে উদ্ভাবন নিয়ে আসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের যৌথ লক্ষ্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাবো।”
আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করে কাজ করছে বিপিসিসিআই; আর এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন হুমায়ুন রশীদ। হুমায়ুন রশীদের নেতৃত্বে বিপিসিসিআই আসিয়ান দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের পরিসর বৃদ্ধিতে ও বাংলাদেশের ব্যবসা এবং বাণিজ্য স্বার্থ তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে; যা একইসঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করবে ও নতুন সম্পর্কের সুযোগও তৈরি করবে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org