দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিলো যে, ‘তুফান’-এ অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে সেন্সরে আটকানো হতে পারে! তবে সেন্সর বোর্ড থেকে রাজস্ব বোর্ড, সবখানেই খতিয়ে দেখেও কোনো উনিশ বিশই পাওয়া যায়নি। এমনই দাবি করেছেন ‘তুফান’ সংশ্লিষ্টরা।
সেন্সর বোর্ডের অন্যতম সদস্য কাজী হায়াত জানিয়েছেন, তুফান আনকাট সেন্সর দেওয়া হয়েছে। পরিচালক রায়হান রাফী এবং প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সব বাধা ডিঙিয়ে ‘তুফান’ আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেলো। তারা সেন্সর থেকে এফডিসি এবং রাজস্ববোর্ড সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
‘তুফান’ সংশ্লিষ্টদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেকভাবেই তুফানকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নানাভাবে অপপ্রচারও রটানো হয়েছে, তবে নিয়মনীতি সবকিছুই ঠিক থাকায় সেন্সর বোর্ড তুফানকে আনকাট সনদ দিয়েছে।
রায়হান রাফী বলেন, যেহেতু সেন্সর হয়েছে, তাই মুক্তিতে আর কোনো রকম কনফিউশন থাকছে না। আনকাট সেন্সর প্রাপ্তির খুশিতে ৫ জুন সন্ধ্যায় ‘তুফান’র টাইটেল গান প্রকাশ করা হয়। সেইসঙ্গে সিনেপ্লেক্স এবং মাল্টিপ্লেক্সে অগ্রিম টিকেট বিক্রিও আশা করা যাচ্ছে দু-চারদিনের মধ্যে শুরু করা যাবে।
শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’ পুরোপুরিই অ্যাকশন ধাঁচের একটি সিনেমা। সেন্সর সনদে দেখা যায় যে, ‘তুফান’ এর দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ২৫ সেকেন্ড! নব্বই দশকের একজন কুখ্যাত গ্যাংস্টারের ভূমিকায় এবার দেখা যাবে শাকিবকে। এই সিনেমায় আরও রয়েছেন মিমি, নাবিলা, চঞ্চল চৌধুরী, মিশা সওদাগর, গাজী রাকায়েতসহ আরও অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org