দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘরোয়া টোটকা ডিম, কলা বা টক দই মেখেও চুলে এমন জেল্লা আনা সম্ভব হয় না। তাই নেটমাধ্যমে ভাইরাল গ্লিটার শ্যাম্পুর উপর ভরসা রাখছে নতুন প্রজন্ম।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভারতের গুজরাতের গান্ধীনগরে পোশাকশিল্প নিয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন শ্রীনিকা। তার আগে শেষ বারের মতো পাঁচ বন্ধুর জমায়েত বসেছে শহরের মধ্যে এক পানশালা-রেস্তরাঁয়। আলো-আঁধারিতে এমন এক মায়াময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যে, সাধারণ জিনিস দেখেও চোখে যেনো ধাঁধা লেগে যাচ্ছে। ঝকমকে পোশাকের উপর আলো যেনো ঠিকরে পড়ছে। ঢিমে লয়ে গানের তালে কোমর দোলাতে গিয়ে হঠাৎ চোখে পড়লো রাজন্যার একঢাল চুল থেকে ছড়িয়ে পড়ছে যেনো অপূর্ব জ্যোতি। পোশাকে জরি-চুমকি থাকলে তার উপর আলো পড়লেই এমনটা হতে পারে। তবে চুল তো স্বাভাবিকভাবে এমন চকচকে হতেই পারে না। তাহলে হলটা কী?
রাজন্যা জানিয়েছেন যে, ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি রিল দেখে তিনি গ্লিটার শ্যাম্পু কিনেন। সেই প্রসাধনীটি মাখার পর চুল এমন চকচকে হয়ে উঠেছে। সাধারণ ঘরোয়া টোটকায় ডিম, কলা বা টক দই মেখেও চুলে এমন জেল্লা আনা সম্ভব হয় না বলেই তিনি জানিয়েছেন। তবে ত্বকের চিকিৎসকরা বলেছেন, এই ধরনের জেল্লা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। তাই শ্যাম্পুর মধ্যে আলাদা করে রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে। যে কারণে চুলের ক্ষতি যদি মেনে নিতে পারেন, তাহলে এই ধরনের প্রসাধনীও কিনতে পারেন।
তাহলে কীভাবে তৈরি করবেন গ্লিটার শ্যাম্পু?
প্রথমে স্বচ্ছ শ্যাম্পুর মধ্যে পরিবেশবান্ধব, রঙিন অভ্র বেশ খানিকটা মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো আপনার গ্লিটার শ্যাম্পু। এখন স্নানের সময় যেমনিভাবে প্রথমে চুল ধুয়ে নিয়ে শ্যাম্পু মাখেন, ঠিক সেইভাবেই শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার কী আদৌ ভালো?
মাথার ত্বকে আগে থেকেই যদি কোনও রকম সংক্রমণ হয়েই থাকে, তাহলে এই প্রসাধনীটি না মাখাই ভালো। প্রাকৃতিক কোনও উপাদান ব্যবহার করলে চুলে এমনি চকচকে ভাব আসবে না। তাছাড়া ত্বকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকেও এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করলে সমস্যা হতেই পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org