দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণিজ প্রোটিন খান না ভিগানরা। দুধ, দই, ঘি, মাখন সবকিছুই বাদ। তাহলে প্রোটিনের চাহিদা পূরণে কোন খাবার রাখবেন তারা খাদ্য তালিকায়?
মাছ, মাংস তো আছেই, প্রাণিজ কোনও জিনিসই তারা খান না। দুধ, মাখন, ঘি’ও বাদ। ব্যবহার করেন না প্রাণী শরীরের কোনও অংশ দিয়ে তৈরি কোনও পণ্যও। তাহলে কট্টর নিরামিষাশী ‘ভিগান’দের শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মিটবে কীভাবে? সেটি বড় প্রশ্ন।
তবে ওই তালিকায় রাখতে পারেন:
মুসুর ডাল
প্রোটিনে ভরপুর মুসুর ডাল খাওয়াতে ভিগানদের কোনই বাধা নেই। স্যুপ, ডাল, স্যালাড সবকিছুতেই এই মুসুর খাওয়া যেতেই পারে। খাওয়া যেতে পারে মুসুর ডালের খিচুড়ি।
চানা
মূলত চানা প্রোটিন ফাইবারে পরিপূর্ণ। কাঁচা বা সেদ্ধ চানা স্যালাড হিসেবে খাওয়ার পাশপাশি ঘুগনি থেকে হামাস বিভিন্নভাবেই খাওয়া যেতে পারে।
টোফু
ভিগানরা যেহেতু প্রাণিজ প্রোটিন খান না। তাই তাদের তালিকা থেকে বাদ পড়ে দুধ এবং দুধ দিয়ে তৈরি হওয়া প্রোটিন। এর পরিবর্তে সয়া দুধ দিয়ে তৈরি টোফু থাকতে পারে খাদ্য তালিকায়। প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় টোফুতে। ভেজে, কারি বানিয়ে বিভিন্নভাবে টোফু খাওয়া যেতে পারে।
টেম্পে
মূলত টেম্পে সয়া দিয়ে তৈরি এক ধরনের খাবার। মাংসের পরিবর্তে খাওয়া হয়। বি ১২ এবং প্রোটিনে ভরপুর এই খাবার ভিগানদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের অন্যতম উৎসও হতে পারে। স্যান্ডউইচ-এর মধ্যে দিয়ে কিংবা রান্না করে এটি খাওয়া যেতে পারে।
চিয়া বীজ
মূলত চিয়া বীজ প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই বীজ ভিজিয়ে খাওয়া যাবে। সকালের পানি স্মুদি, পুডিংএও ব্যবহার করা যায় এটি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org