স্প্রে সানস্ক্রিন কী স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত চিকিৎসকরা বলেছেন, ত্বককে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে হলে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মাখতে হবে। ঘরের বাইরে ক্রিম কিংবা পাউডার মাখা বেশ ঝক্কির।

এতোদিনে অনেক রকম সানস্ক্রিন ব্যবহার করেছেন। কোনওটি হয়তো ক্রিমের মতো, কোনওটি আবার জেল। সেই ক্রিম মাখলে হয়তো রোদ থেকে ত্বককে বাঁচানো যাবে। তবে অনেকেই বলেন, এই ধরনের সানস্ক্রিন মাখলে মুখ আরও বেশি কালচে হয়ে যায়। যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের মুখে আরও ব্রণ বের হয়। সেইসব কথা মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি প্রসাধনী সংস্থা পাউডার সানস্ক্রিন আনে বাজারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্রসাধনীটি বেশ কাজেরও। তাই একটা সময় পাউডার সানস্ক্রিনেরও বেশ কদর ছিল। তবে এই ক্ষেত্রে সমস্যা হলো বার বার ব্যবহার করা। ওই সমস্যা সমাধান করতে ইদানীং পাওয়া যাচ্ছে স্প্রে সানস্ক্রিন।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি আটকাতে গেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখতে হয়। তবে সারাদিন যদি বাইরে মাঠে-ঘাটে কাজ করতেই হয়, তাহলে ওই এক বার সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না। ত্বকের চিকিৎসকরা বলেছেন, ত্বককে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে হলে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। ঘরের বাইরে ক্রিম কিংবা পাউডার মাখা বেশ ঝক্কির। তবে স্প্রে বোতলের ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হওয়া কথাও নয়। রাস্তাঘাটে সুগন্ধি মাখার মতো ত্বকে সানস্ক্রিন স্প্রে করে নিলে কাজ শেষ। তবে স্প্রে সানস্ক্রিন কী ক্রিম কিংবা পাউডারের মতোই কাজ করে? এটি নিয়মিত মাখলে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না তো?

Related Post

স্প্রে সানস্ক্রিন মাখার সুবিধা-অসুবিধা কী কী?

ক্রিম, জেল কিংবা পাউডার সানস্ক্রিনের চেয়ে স্প্রে’র সবচেয়ে বড় সুবিধাই হলো এটি ব্যবহার করা। সুগন্ধির মতোই স্প্রে বোতলেই থাকে এটি। তাই খুব সহজেই শরীরের অনাবৃত অংশে মেখে ফেলা যায়। শরীরের যে অংশে হাত পৌঁছায় না, সেখানেও খুব সহজেই সানস্ক্রিন স্প্রে করে নেওয়া যায়। অনেকেই বলেন যে, সানস্ক্রিন মাখলে মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। অনেকের আবার মুখ চটচটও করে। স্প্রে সানস্ক্রিন হলো তাদের জন্যই ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’।

অপরদিকে, স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহারের কিছু সমস্যাও রয়েছে। এই ধরনের প্রসাধনীতে সুগন্ধির মতো ‘ফ্লেমেবল’ কিছু গ্যাস ও অ্যালকোহলও থাকে। তাই মাখার পর ত্বকে জ্বালা-পোড়া করতেই পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য যা অত্যন্ত ক্ষতিকরও। এই প্রসাধনীটি ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুন ১০, ২০২৪ 2:55 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এখন থেকে বড় পর্দায় দেখা যাবে রাতের স্বপ্ন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…

% দিন আগে

রাজবাড়ী বড় মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে