দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাজারে আরও একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন আনলো রিয়েলমি। হাই-এন্ড ফোনের পাশাপাশি কম দামি ফোনের ক্ষেত্রেও একের পর এক বিকল্প নিয়ে আসছে রিয়েলমি।
কম বাজেটের মধ্যে অনেকেই একটি ভালো ফিচারপ্যাক স্মার্টফোন খুঁজে থাকেন। তাদের জন্য এটি ভালো বিকল্পও হতে পারে। এমন একটি ফোন যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি ভালো ক্যামেরা এবং ব্যাটারি ব্যাক-আপ পাওয়া যায়।
এই ফোনে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি দেওয়া হয়। কোম্পানিটি দাবি করছে যে, মাত্র ১ মিনিট ডিভাইসটি চার্জ দিলেই টানা ১ ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
এই ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। তাছাড়াও রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির স্ক্রিন। অর্থাৎ শক্তিশালী ব্যাটারি ও বড় সাইজের ডিসপ্লের ফোন আপনি কিনতে পারবেন কম দামেই।
বিশেষ করে যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য স্মার্টফোনে বড় সাইজের ডিসপ্লে ও দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে পারবে এমন শক্তিশালী ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেইসঙ্গে বলা হচ্ছে, রিয়েলমির এই ফোনে মাত্র এক মিনিট চার্জ দিলেই নাকি ইউজাররা এক ঘণ্টার জন্য কল-টাইম সাপোর্ট পাবেন। অর্থাৎ এক মিনিট রিয়েলমি সি৬৩ ফোনে চার্জ দিলে ব্যাটারিতে যতোটা চার্জ হবে তার সাহায্যে অনায়াসে এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলা সম্ভব। এই ফোনের ক্যামেরা ফিচারও অনেক ভালো। ডুয়াল রেয়ার ক্যামেরা ইউনিট রয়েছে এই ফোনটিতে। সেখানে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেনসরও রয়েছে। অর্থাৎ ভালো গুণমানের ছবি উঠবে এই ফোনের ক্যামেরায়। ভারতে এই ফোনটি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯ হাজার রুপিতে।
একটি অক্টা-কোর Unisoc T612 চিপসেট রয়েছে এই ফোনটিতে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৪ জিবি র্যাম। এর পরিমাণ ভার্চুয়ালভাবে ৮ জিবি পর্যন্ত বাড়ানোও সম্ভব। ফোনের ব্যবহার না হওয়ার স্টোরেজের সাহায্যে র্যামের পরিমাণও বাড়ানো সম্ভব।
এই ফোনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেনসর। এই ফোনটি একটি ডাস্ট অ্যান্ড স্প্ল্যাশ রেজিসট্যান্ট ডিভাইস। অর্থাৎ পানি ও ধুলোয় সহজেই নষ্ট হবে না।
রিয়েলমি সি৬৩ ফোনে রয়েছে Rainwater Smart Touch- প্রযুক্তির সাপোর্ট। এই প্রযুক্তির সাহায্যে আর্দ্র আবহাওয়া বা বৃষ্টির মৌসুমে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে।
এই ফোনটিতে এইচডি প্লাস রেজোলিউশন যুক্ত ডিসপ্লে রয়েছে; যার রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ। তাছাড়াও রয়েছে ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টও।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org