দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করা, রান্না করা, ভারজাতীয় কোনো কিছু তোলা কিংবা ঘরের কাজকর্ম করার সময় হাতের কব্জিতে ব্যথা হয় অনেকের। সাধারণ ব্যথা ভেবে এড়িয়ে গেলে পরে সমস্যাও হতে পারে। কী কারণে ব্যথা হচ্ছে?

রান্নার সময় একটানা অনেকক্ষণ খুন্তি নাড়লেই কি হাতে ব্যথা করে? জামাকাপড় কাচা, ঘর পরিষ্কারের সময় হয়তো দেখতে পেলেন হাত কাঁপছে, অল্পতেই ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। লেখার সময় টান ধরছে আঙুলের মধ্যে। মোবাইল নিলেই তখন হাত টনটনিয়ে উঠছে। কিছুক্ষণ মাউস চালালেই হাতের কব্জিতে ভয়ানক ব্যথা হচ্ছে। কখনও কখনও আঙুল এতোটাই অবশ হয়ে যায় যে, মুঠো করে কিছু ধরার শক্তিটুকু পর্যন্তও থাকে না। এমন সব লক্ষণ যদি দেখা দিতেই থাকে, তাহলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। এই সমস্যা এখন বেশিরভাগেরই দেখা যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগটিকে বলা হয়- ‘কারপাল টানেল সিনড্রোম’।
স্নায়ু রোগ। রোগটি থেকে চটপট সেরেও ওঠা যায়, তারপরও যদি সমস্যার সূত্রপাত হতেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যায়। তবে অনেকেই যন্ত্রণাও সহ্য করে, ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করে ভাবেন সেরেও যাবে। এতে করে রোগ আরও জটিল হয়ে ওঠে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাতের কব্জির কাছে একটি সরু নালির মতো অংশ রয়েছে যাকে ‘কারপাল টানেল’ বলা হয়। অনেকটা সুড়ঙ্গের মতোই। এর মধ্যে দিয়ে চলে গেছে ‘মিডিয়ান স্নায়ু’। এই স্নায়ুই হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কোনও কারণে ওই নালি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে, তখন হাতের কব্জিতেও যন্ত্রণা শুরু হয়। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মনে করেন, ‘কারপাল টানেল’ হলে কব্জির স্নায়ুকোষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেটি তখন সঙ্কেত পাঠাতে পারে না। যে কারণে কব্জির পেশি শক্ত হয়ে যেতে থাকে। হাত নাড়তে গেলে বা মুঠো করে কিছু ধরতে গেলে ব্যথা শুরু হয়ে যায়।
কাদের হতে পারে এই রোগটি?
হাইপোথাইরয়েড থাকলে এই রোগটিও বেশি হতে পারে। যাদের ওজন একটু বেশি, তাদের কব্জির ভিতরের ওই নালি ফুলে গিয়ে স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে। আর তখনই হাতে ব্যথা হয়। আবার গর্ভবতী মহিলারাও এই রোগটিতে ভুগতে পারেন। ‘রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস’ কিংবা যে কোনও বাতের ব্যথা থাকলে এই রোগের ঝুঁকিও বাড়ে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারাও এই রোগটিতে ভুগতে পারেন। ডায়াবেটিস থাকলেও অনেক সময় ‘কারপাল টানেল’ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হাতের আঙুলগুলো অসাড় হয়ে আসতে পারে। অনেক সময় হাত ফুলেও যায়। দীর্ঘ সময় ধরে মাউস চালনা করলে ও কি-বোর্ড এবং হাতের অবস্থান সঠিক না থাকলে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। যারা খুব বেশি ভারি জিনিসপত্র তোলেন, তারাও ভুগতে পারেন এই ‘কারপাল টানেল’ রোগে।
রোগীর কেমন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে সেটি বুঝে চিকিৎসা করা হয়। ফিজিয়োথেরাপি, আলট্রাসাউন্ড থেরাপিও করেন চিকিৎসকরা। ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসক হাতে পরার যে ব্যান্ড দেবেন তা পরেই থাকতে হবে। এতে হাতের পেশিতে চাপ কম পড়বে এবং ব্যথাও দ্রুত সেরে উঠবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ২৬, ২০২৪ 2:36 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘নেচার ইজ় ব্রুটাল’ নামে এক্স হ্যান্ডল হতে পোস্ট করা ভিডিওটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…