দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে ল্যাপটপের ব্যবহার বাড়ছে। অফিসের কাজেই হোক আর শিক্ষার্থীদের হোক সব ক্ষেত্রেই ল্যাপটপের ব্যবহার প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহারে হাতের ব্যথা হয় অনেকের। এমন অবস্থা হলে আপনি কী করবেন?
তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় হোক কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন বা বিজ্ঞাপনী সংস্থা অথবা সংবাদমাধ্যম, বহু পেশাতে বর্তমানে দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করতে হয়। দিনের পর দিন দীর্ঘক্ষণ কি-প্যাড এবং মাউজ় ব্যবহারের কারণে কারও কারও, কখনওবা কব্জিতে, কখনওবা কনুইতে, আবার কখনও কাঁধ এবং বাহুর সংযোগস্থলে ব্যথা হয়। এমনকী আঙুলেও অনেক সময় ব্যথা হয়। খুব ব্যথা হলে ব্যাথানাশক ওষুধ খেলে সাময়িক কষ্ট কমে এটি ঠিক, তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না। এইক্ষেত্রে কী করণীয় রয়েছে?
বসার উপযুক্ত ভঙ্গিমা
যে চেয়ারে আপনি বসে কাজ করছেন তারসঙ্গে টেবিলে রাখা ল্যাপটপের দূরত্ব কতো, চোখের দৃষ্টির সঙ্গে কোন কৌণিক দূরত্বে সেটি রাখা রয়েছে, সেটি কিন্তু ভীষণ জরুরি। কাজ করার সময় সঠিক ভঙ্গিতেও বসা দরকার। শিরদাঁড়া সোজা রেখে তারপর বসতে হবে। বসার ভঙ্গিতে গন্ডগোল হলে, কাঁধে এমনকি মাথাতেও ব্যথা হতেই পারে।
মাউচ ব্যবহার
সারাদিন যাদেরকে মাউচ চালনা করতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে সঠিক মাউচ নির্বাচন খুবই জররি। বিভিন্ন দামের বা বিভিন্ন আকারের মাউজ় রয়েছে। আপনার হাতের জন্য কোনটা উপযুক্ত হবে সেটি বুঝে নিতে হবে। কোনও মাউচ কোনোটি চ্যাপ্টা হয়, কোনওটা একটু উঁচু, কোনটা আপনার ব্যবহারে সুবিধা হচ্ছে দেখতে হবে। কব্জিতে যাতে বেশি চাপ না পড়ে এমন মাউচ ব্যবহার করা ভালো।
কি-বোর্ড
সাধারণ ল্যাপটপের আকার অনুযায়ী কি-বোর্ডও ছোট-বড় হয়। ছোট কি-বোর্ড ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহার করে টাইপ করলে হাতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ হলো, এতে বাহু ঠিকমতো প্রসারিত হওয়ার সুযোগই পায় না। যার জেরে আঙুল, কাঁধ এবং বাহুর সংযোগস্থলে ব্যথা হয়। এইক্ষেত্রে আলাদা করে প্রশস্ত কি বোর্ড জুড়ে কাজ করলে সুবিধা হবে।
কনুইয়ের অবস্থান
ল্যাপটপে কাজের সময় কনুই দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকলেও অনেক সময় হাতে ব্যথা হতে পারে। এক একজনের, এক এক কারণে ব্যথা কিংবা সমস্যা দেখা দেয়। এইক্ষেত্রে কোনও কিছুর উপরে কনুইয়ের ভর দিয়েও কাজ করতে পারেন।
বিরতি প্রয়োজন
টানা কাজের বদলে মাঝেমধ্যেই বিরতি নিন। খানিকটা কাজের পর হেঁটে আসুন। হাত-পা প্রশস্ত করুন। কব্জি ঘুরিয়ে ব্যায়ামও করে নিতে পারেন। হাতের তালুতে ব্যথা হলে, নরম বল রাখতে পারেন। বলে চাপ দিলেও হাতের ব্যায়াম হয়।
তবে এতেও কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে সমস্যা বাড়তে পারে, তাই সজাগ থাকতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ৩০, ২০২৪ 3:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…