দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ বহুল ব্যবহৃত একটি যোগাযোগমাধ্যম। তাৎক্ষণিক বার্তা, ছবি আদান-প্রদানের ও অডিও-ভিডিও কলের সুযোগ থাকায় অনেকেই নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন।
অনেক সময়একটির পরিবর্তে দুটো হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে দেখা যায় অনেককে। সেটি অনেক সময় ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক কারণেও হতে পারে। কারণ যাই হোক না কেনো কখনও কখনও একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের প্রয়োজনও হয়। একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার যেমন কষ্টকর, ঠিক তেমনি ব্যয়বহুল।
তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে একই হোয়াটসঅ্যাপ হতে একাধিক অ্যাকাউন্ট একসঙ্গে ব্যবহার করা যায়। একই অ্যাপে একইসঙ্গে দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
একই অ্যাপে একসঙ্গে দু’টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য প্রথমেই স্মার্টফোন হতে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করে ওপরের ডানদিকে থাকা ৩টি ডট মেনুতে আপনাকে ট্যাপ করতে হবে। তারপর পপআপ বক্সে প্রদর্শিত অপশন হতে ‘সেটিংস’ নির্বাচন করলে পরের পৃষ্ঠায় প্রোফাইল নামে পাশে কিউআর কোড এবং ড্রপডাউন মেনু দেখা যাবে।
তারপর ড্রপডাউন মেনুতে ট্যাপ করে ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ অপশন নির্বাচন করে পরের পৃষ্ঠায় শর্তাবলির নিচে থাকা ‘অ্যাগ্রি অ্যান্ড কনটিনিউ’ বাটনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। তারপর ফোন নম্বর লিখে নিচে থাকা নেক্সট বাটনে ট্যাপ করলেই একটি ৬ সংখ্যার কোড পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। কোডটি লেখার পরই সেকেন্ডারি অ্যাকাউন্টের প্রোফাইলের অন্যান্য তথ্যও যুক্ত করলেই নতুন অ্যাকাউন্টও চালু হয়ে যাবে। পরে যে কোনো সময় ড্রপডাউন মেনু হতে কাঙ্ক্ষিত অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করে সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা সম্ভব।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org