দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাসই গ্যাস থেকে দূরে থাকা সম্ভব। তবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি ভরসা রাখা যেতে পারে বিশেষ পানীয়তে। গ্যাস কমাতে আদা বেশ উপকারী। তাই আদা চা এইক্ষেত্রে কার্যকরীও হতে পারে।
গ্যাসের সমস্যা বাঙালির নিত্যদিনের। শুধু বাইরের খাবার খেলেই হবে না, ঘরোয়া খাবার খেয়েও এই ধরনে সমস্যায় ভুগতে হয়েছে অনেকেই। গ্যাস হলেই বাঙালির সঙ্গী হয় অ্যান্টাসিড। তাতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও, চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস-পেট ফাঁপার সমস্যা পুষে রাখলে আবার অন্য রোগও বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। তাই সাবধানে থাকাটা জরুরি। সাবধানে থাকা মানেই বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি রাশ টানা, বেশি করে পানি খাওয়া। দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাসে গ্যাস থেকে দূরে থাকা সম্ভব। তবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি ভরসা রাখা যেতে পারে এক বিশেষ পানীয়তে। গ্যাস কমাতে আদা বেশ উপকারী একটি জিনিস। তাই আদা চা এই ক্ষেত্রে কার্যকরীও হতে পারে।
মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা বা মেজাজ চাঙ্গা রাখতে যেভাবে আদা চা বানিয়ে খাওয়া হয়, এই সমস্যার ক্ষেত্রে বানানোর পদ্ধতি খানিকটা ভিন্ন। গ্যাসের সমস্যা থেকে এই চা খেতে হলে প্রথমেই আদা কুচি কুচি করতে হবে। এরপর আদা কুচিগুলো ভালো করে ফুটিয়ে নিন। অন্তত ৪-৫ মিনিট ফোটানোর পর ওই পানিতে একে একে চা পাতা, দারচিনি, গোলমরিচ গুঁড়ো, তুলসি পাতা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফোটান। পানি খানিকটা শুকিয়ে এলে নামিয়ে তারপর ছেঁকে নিন। এরপর ঠান্ডা হলে চুমুক দিলেই চলবে।
সমস্যা হলেই তখন সমাধানের কথাও মনে পড়ে। তবে আগে থেকেই যদি কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা যায়, তাহলে আপনাকে আর ভুগতে হবে না। প্রতিদিন জীবনে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি, যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি এই পানীয় প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে পারেন, তাহলে সুস্থ থাকা অনেক সহজ হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org