দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়বেটিসের মূল ওষুধ হলো ইনসুলিন। তাই এই ইনসুলিনের ব্যবহার সঠিকভাবে করতে হবে। ইঞ্জেকশন কীভাবে নেবেন, কোথায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে, তা জেনে রাখাটা জরুরি।
আমরা জানি ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় ইনসুলিন আবশ্যকীয় একটি ওষুধ। যাদের ডায়াবেটিস ধরা রয়েছে, তাদের অবশ্যই ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিতে হবে। তবে ইনসুলিনের ব্যবহার সঠিকভাবে করতে হবে। ইঞ্জেকশন কীভাবে নেবেন, কোথায় সংরক্ষণ করে রাখবেন, সেটি জেনে রাখা জরুরি।
ইনসুলিন ত্বকের নীচে নেওয়া হয়। ইনসুলিন ভায়াল কিংবা শিশি থেকে সিরিঞ্জের মাধ্যমে ও ইনসুলিন পেন কিংবা কলমের মতো একটি যন্ত্রের মাধ্যমে ইনসুলিন নেওয়া হয়। যদি কখনও ঠিকমতো ইনসুলিনের ডোজ় শরীরে না ঢোকে, তাহলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। তাই যারা প্রথম বার ইনসুলিন নেবেন, তারা জেনে নিন কিছু নিয়মগুলো।
# ইনসুলিন কেনার পূর্বে দেখে নিন সেটির উৎপাদনের সময় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা রং বদলে যাওয়া ইনসুলিন কখনও কিনবেন না।
# অব্যবহৃত ইনসুলিন কলম, কার্ট্রিজ কিংবা শিশি ফ্রিজে রাখুন। তবে ডিপ ফ্রিজে নয়, নরমালে রাখতে হবে। ফ্রিজ যদি নাও থাকে, তাহলে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে রাবার ব্যান্ড দিয়ে মুখ বেঁধে মাটির কলসিতে রাখতে পারেন।
# খুব বেশি রোদ কিংবা ঠান্ডায় ইনসুলিন রাখবেন না। মনে রাখতে হবে যে, তাপমাত্রা যেনো ৪ ডিগ্রির কম এবং ৪০ ডিগ্রির বেশি না হয়। ব্যবহার শুরু করার পরই ইনসুলিন পেন সুচ লাগানো অবস্থায় কখনওই ফ্রিজের মধ্যে রাখবেন না। ব্যবহার করার পূর্বে, ফ্রিজ থেকে বের করে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে এরপর ব্যবহার করুন।
# অন্য কোথাও না নিয়ে পেটের চামড়ার নীচে ইনসুলিন নিলে সবচেয়ে ভালো। তাহলে চর্বির স্তর ভেদ করে তারপর ওষুধ ঢুকবে শরীরে। নাভির দু’পাশে ২ ইঞ্চি, উপরে এবং নীচে ১ ইঞ্চির মতো জায়গা বাদ দিয়ে পেটের যে কোনও জায়গায় এই ইঞ্জেকশন নিতে পারেন। এছাড়াও দুই ঊরুর সামনের অংশেও ইনসুলিন নেওয়া যেতে পারে।
# একই জায়গায় কখনও বার বার ইনসুলিন নেবেন না। আগের বার যেখানে নিয়েছিলেন, তার থেকে অন্তত ১ সেন্টিমিটার দূরত্ব আবার নিন। যদি ইনসুলিন নেওয়া জায়গায় জ্বালা হয় কিংবা ফুলে লাল হয়ে যায়, তাহলে সেখানে সুচ ফোটাবেন না।
# ইনসুলিনই নিন কিংবা ওষুধ খান, খেতে হবে লো–ক্যালোরির সুষম এবং ফাইবারযুক্ত খাবার। ইনসুলিন নিলেও দু’–এক কেজি ওজন বাড়ে। শুয়ে বসে থাকলে তা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা কিংবা হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
# পেন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যতো ইউনিট ইনসুলিন নেবেন, ঠিক সেই পরিমাণ ডায়াল ঘুরিয়ে নিন। ইঞ্জেকশন নেওয়া হয়ে গেলেই সিরিঞ্জ কিংবা পেনের সুচ সঙ্গে সঙ্গে বের করে ফেলবেন না। সুচ ভিতরে রেখে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। এরপর বের করুন।
# দিনে এবং রাতে খাবার খাওয়ার পূর্বে নিতে হয় ইনসুলিন। কী ডোজ়ে নেবেন এবং কতোক্ষণ পূর্বে তা চিকিৎসকই বলে দেবেন। ইঞ্জেকশন নেওয়ার পূর্বে ত্বকের জায়গাটি পূর্বে পরিষ্কার করে নিন। ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেবেন কি-না তা চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন।
# ব্যবহৃত সুচ যত্রতত্র না ফেলে দিয়ে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন ও তা নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ১৩, ২০২৪ 3:07 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…