দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উপস্থিত সকলের একটাই ইচ্ছা ছিল, শিক্ষকের হাতে বেতের ঘা খেয়ে স্কুল জীবনের পুরনো স্মৃতি ফিরে পাওয়া। আর ঠিক তাই করলেন অভিনব এক পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে ভারতের ডাক্তার পুলিশ আমলারা!
ভারতের ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেও ডাক্তার, কেও পুলিশ, আবার কেও সরকারি উচ্চপদস্থ আমলা; ছিলেন শিক্ষকও। সকলের পরনেই সাদা রঙের শার্ট এবং প্যান্ট। আর কাঁধে স্কুলের ব্যাগ। সিঁড়িতে বেত হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাদের অধ্যক্ষ। সার বেঁধে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছায় একে একে পিঠ পেতে দিচ্ছেন এই সব স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এক সময়ের ছাত্ররা। এক ঘা করে বেত পড়তেই স্কুলের ছাত্রদের মতো আর্তনাদ বেরিয়ে আসছে তাদের মুখ দিয়ে। একটি স্কুলের পুনর্মিলনের এমনই এক ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে নজর কেড়েছে নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীদের। বেত খাওয়ার সেই মজার ভিডিও রেকর্ড করেছেন প্রাক্তন ছাত্ররা।
স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে লিখেছেন যে, পুনর্মিলনের দিন তাদের সকলের একটাই ইচ্ছা ছিল, অধ্যক্ষের হাতে আবার বেতের ঘা খেয়ে স্কুলজীবনের স্মৃতি ফিরে পাওয়া। কারণ হলো তারা বিশ্বাস করেন, অধ্যক্ষের ওই বেতের আঘাতের কারণেই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন তারা। তাই এই বেতের আঘাত তাদের জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ হিসেবে এসেছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org