দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায় দু’বেলা দাঁত মেজেও মুখের দুর্গন্ধ যায় না। এর কারণ কী? কিছু গবেষণায় মুখে দুর্গন্ধের অন্য কয়েকটি কারণও উঠে এসেছে।
শরীরে কিছু উপাদানের ঘাটতি থাকলে মুখে দুর্গন্ধ হতেই পারে। মুখের দুর্গন্ধের নেপথ্যে কোন ভিটামিনগুলো রয়েছে? দাঁত মাজার পরেও কেনো দুর্গন্ধ যাচ্ছে না?
মুখের দুর্গন্ধের নেপথ্যে বিভিন্ন কারণও থাকতে পারে। দাঁতে পোকা, দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকার মতো সমস্যা, মাড়ির কোনও রকম সমস্যা, মুখগহ্বরে সংক্রমণের মতো বেশ কিছু কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। সেই কারণেই মুখের ভিতরের যত্নে কোনও খামতি রাখা মোটেও উচিত নয়। পানি কম খেলে বা খাবার খাওয়ার পর ঠিক মতো মুখ না ধুলেও গন্ধ হতে পারে। আবার চিকিৎসকরা মনে করেন, লিভারজনিত সমস্যা থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু গবেষণায় মুখে দুর্গন্ধের অন্য কয়েকটি কারণও উঠে এসেছে। শরীরে কিছু উপাদানের ঘাটতি থাকলে মুখে দুর্গন্ধও হতে পারে। মুখের দুর্গন্ধের নেপথ্যে কোন ভিটামিনগুলো রয়েছে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
আয়রণ
রক্তাল্পতা কিংবা অ্যানিমিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ আয়রণের ঘাটতি। অ্যানিমিয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধ হয়। কাজেই দেহে আয়রণের ঘাটতি থাকলে তার লক্ষণও হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ।
জিঙ্ক
মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে গেলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে জিঙ্ক অত্যন্ত কার্যকর। দেহে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলেও বেড়ে যেতে পারে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা।
ভিটামিন সি
মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার আরেকটি অন্যতম প্রধান কারণ ভিটামিন সি-এর ঘাটতি। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত দেখা দিতে পারে। এই ক্ষত থেকে মুখে সংক্রমণও ঘটতে পারে। মুখে জীবাণু সংক্রমণ দেখা দিলে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। লেবু জাতীয় ফল, ব্রকোলি বা বেরি খেলে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org