দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি প্রকাশিত কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল -এর আইজিসিএসই, এএস ও এ লেভেল’র মে-জুন ২০২৪ সেশনের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অসামান্য ফলাফল উদযাপন করেছে গ্লেনরিচ উত্তরা (সাবেক ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা)। বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত এই পরীক্ষার ফল দেশের শিক্ষার্থীদের মেধার নৈপুণ্য ও স্কুলগুলোকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরেছে।
কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল’র মে-জুন ২০২৪ সেশনের পরীক্ষায় গ্লেনরিচ উত্তরা (সাবেক ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা) থেকে মোট ৪২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে আইজিসিএসই দিয়েছেন ১৬১ জন, এএস দিয়েছেন ১৫১ জন এবং এ লেভেল দিয়েছেন ১১২ জন। গড়ে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন ১৪ জন আইজিসিএসই ও ৫ জন এ লেভেল পরীক্ষার্থী। পড়াশোনার ক্ষেত্রে নিজেদের নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়েছেন অসাধারণ ফল অর্জন করা এ সকল শিক্ষার্থী।
গত বছরের তুলনায় এ গ্রেড পাওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালের আইজিসিএসই তে এ অর্জন করেছেন স্কুলের ২৪.০৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী, যা এ বছর ৩০.০৬ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। এএস (অ্যাডভান্সড সাবসিডিয়ারি) পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ’রও বেশি নম্বর পেয়েছেন ১৩.০৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী, যা গত বছর ছিল ৮.৩৩ শতাংশ। এ লেভেল পরীক্ষার্থীদের মাঝেও এর হার বেড়েছে, যা গত বছরের ১৭.১১ শতাংশ থেকে এবছর ২২.৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে। সকল শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে তাদের সার্বিক শিক্ষা নিশ্চিত করে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রতি গ্লেনরিচ উত্তরার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ শিক্ষার্থীদের এ সাফল্য।
ছয়টিরও বেশি এ-স্টার পাওয়া ১১ জন আইজিসিএসই পরীক্ষার্থীদের গ্লেনরিচ স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। দ্য ডেইলি স্টার অ্যাওয়ার্ড পাবেন ৪১ আইজিসিএসই ও ২৪ এ লেভেল শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গ্লেনরিচ উত্তরা ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “মে-জুন ২০২৪ -এর আইজিসিএসই, এএস ও এ লেভেল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্টাফদের অভিনন্দন। এবারের ফলাফল নিয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত গর্বিত। শিক্ষার্থীদের সার্বিক সমর্থন ও পথনির্দেশনা দিয়ে তাদেরকে এই দুর্দান্ত অর্জনের দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাদের অভিভাবকেরা। সেজন্য আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের এই কঠোর পরিশ্রমকে আমাদের যথাযথ স্বীকৃতি দেয়া উচিত। আমার পক্ষ থেকে আমি অনন্য ফল অর্জন করা সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org