দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে স্যামসাং নিয়ে এলো রেফ্রিজারেটরের তিনটি নতুন মডেল। আধুনিক সাজসজ্জার নান্দনিকতার ছোঁয়া বজায় রেখে ব্যবহারকারীদের সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এই রেফ্রিজারেটরগুলোতে স্যামসাং যোগ করে অত্যাধুনিক সব ফিচার।
নতুন মডেলের টপ মাউন্ট ফ্রিজার আরটি ৩১, আরটি ৩৫ ও আরটি ৪২’র নেট ক্যাপাসিটি যথাক্রমে ৩০৫ লিটার, ৩৪৮ লিটার এবং ৪১৫ লিটার। মেটালিক ফিনিশ, কটা ফিনিশ ও গ্লাস ডোর – এই তিন ম্যাটেরিয়ালে ডিজাইন করা রেফ্রিজারেটরগুলোর ঝকঝকে গ্লাস ডোর যে কারো নজর কাড়বেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’র সাহায্যে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর নিজস্ব ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী বিদ্যুৎ খরচ অনুমান করতে এতে প্রথমবারের মত যুক্ত হয়েছে স্মার্টথিংস এআই সুবিধা। বিদ্যুৎ বিল ব্যবহারকারীর আগে থেকে নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে এটি বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণে সেভিং মোড চালু করার পরামর্শ দিতে পারে।
স্যামসাংয়ের নিজস্ব স্পেসম্যাক্সটিএম প্রযুক্তি রেফ্রিজারেটরগুলোর ভেতরের প্রশস্ত জায়গা নিশ্চিত করে, ফলে অনেক বেশি খাবার সংরক্ষণ করতে চাইলেও কোন দুশ্চিন্তা থাকবে না। এছাড়াও, হাই ইউরেথিন ইনসুলেশনের কারণে জ্বালানী সাশ্রয় অক্ষুণ্ণ রেখেই রেফ্রিজারেটরের দেয়ালগুলো খুব পাতলা রাখা সম্ভব হয়। তাই এখন চাইলে একসাথে গোটা সপ্তাহ বা মাসের বাজারও করে নিতে পারেন, একদম নিশ্চিন্তে!
রেফ্রিজারেটরগুলোর চমৎকার ফিচারের মধ্যে আরও রয়েছে অপটিমাল ফ্রেশ+ এবং ওয়াইফাইয়ের সাহায্যে স্মার্টথিংসের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর নিয়ন্ত্রণ। অপটিমাল ফ্রেশ+ ড্রয়ারে রয়েছে চারটি আলাদা মোড, যা ভিন্ন ভিন্ন ধরণের খাবার একদম তাজা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আইওটি সুবিধা পেতে নির্ধারিত কিছু মডেলে স্মার্টথিংস সুবিধাটি পাওয়া যাবে।
“আমাদের ব্যস্ত জীবনকে সহজ করে তোলার ক্ষেত্রে একটি ভালো রেফ্রিজারেটরের অবদান আমরা প্রায়ই ভুলে যাই। তবে হালের গতিময় জীবনযাত্রার নানা ধরণের প্রয়োজন মেটাতে আধুনিক প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটরের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। রান্নাঘরে একইসাথে ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য ও ঘরের নান্দনিকতার সমন্বয় নিশ্চিত করতে আমাদের নতুন রেফ্রিজারেটরগুলো দারুণ ভূমিকা রাখবে”, বলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর।
বর্তমানে ৮১,৯০০ টাকা থেকে ইলেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের আউটলেটে উল্লেখিত মডেলের রেফ্রিজারেটরগুলো পাওয়া যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের নিশ্চয়তা হিসেবে সবগুলো মডেলের ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসারে স্যামসাং দিচ্ছে ২০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরও জানতে ভিজিট করুন www.samsung.com/bd। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org