দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউটিউব এবার তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশুদের অনলাইন কার্যকলাপ নজরদারির জন্য অভিভাবকদের জন্য নতুন ফিচার চালু করলো। সচেতন অভিভাবকরা এখন থেকে তাদের সন্তানের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাদের অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে পারবেন।
এর মাধ্যমে অভিভাবকরা শিশুদের ভিডিও আপলোড, সাবস্ক্রিপশন ও মন্তব্যসহ বিভিন্ন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণও করতে পারেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউটিউবের নতুন এই তত্ত্বাবধানের কারণে বাবা-মায়েরা তাদের কিশোর সন্তানের ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে আরও ভালোভাবে সচেতন হতে পারবেন।
নতুন প্রকাশিত নির্দেশনায় ইউটিউব জানিয়েছে যে, যখন আপনার প্রাক-কিশোর সন্তান বড় হতে থাকে, তখন তাদের আগ্রহও পরিবর্তন হতে শুরু করে দেয়। ইউটিউবের নতুন তত্ত্বাবধান বিকল্পটি আপনাকে কিশোরদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতেও সহায়তা করবে। যে কারণে যখন তারা প্রথমবারের মতো ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করা শুরু করবে তখন সেটি নিরাপদ হবে।
অল্পবয়সি শিশুদের জন্য ইউটিউব একটি পৃথক অ্যাপ চালু করেছে, যার নাম হলো ‘ইউটিউব কিডস’। এটি আরও নিরাপদ এবং সহজ অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এই অ্যাপটি অভিভাবকদের নিশ্চিত করতে সহায়তা করে যে, ছোট শিশুরা শুধুমাত্র তাদের বয়সের উপযোগী কনটেন্টই দেখতে পারবে।
১৩ হতে ১৭ বছর বয়সী কিশোরদের জন্য, অভিভাবকরা এখন থেকে প্রতি ঘণ্টায় ‘বিরতি নাও’ বিজ্ঞপ্তি সেট করে দিতে পারবেন। সেইসঙ্গে রাত ১০টার পর ঘুমের সময়ের জন্য রিমাইন্ডারও দিতে পারবেন। এছাড়াও, ইউটিউবের একটি অটোপ্লে কিল সুইচ রয়েছে যা শিশুদের একটানা ভিডিও দেখার ফাঁদে পড়া থেকেও বিরত রাখবে।
সেইসঙ্গে ১৭ বছরের কম বয়সীদের জন্য তথাকথিত ‘সমস্যাজনক’ কনটেন্ট যেমন সামাজিক আগ্রাসন কিংবা ভয় দেখানোর মতো ভিডিও দেখতে রেস্ট্রিক্টও করে দেওয়া হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org