দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দরজা আটকানোর বস্তু হিসাবে ব্যবহৃত হলো প্রাগৈতিহাসিক এক রত্ন। যার দাম শুনলে আপনি নিজেও চমকে যাবেন। এর দাম ১১ লক্ষ টাকা!
দরজার ‘প্রহরী’ হয়ে দরজার কাছে অবহেলায় পড়ে ছিল দীর্ঘদিন। এক খণ্ড পাথরটির দিকে সেভাবে নজর দেননি কেওই। বাড়ির বৃদ্ধা মালিক ঘুণাক্ষরেও জানতে পাননি এক অমূল্য সম্পদ পড়ে রয়েছে তার বাড়িতে। পরে সেই পাথরটির আসল পরিচয় প্রকাশ পেতেই চোখ একেবারে কপালে উঠেছে রোমানিয়ার বাসিন্দা ওই বয়স্ক মহিলার পরিবারের মধ্যে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাম্বারের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি না করে কয়েক দশক ধরে দরজা আটকানোর বস্তু হিসাবে ব্যবহার করেন তারা। প্রাগৈতিহাসিক এই রত্নটির দাম ১১ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল পাইসে’ এই প্রকাশিত হয়েছে এই খবরটি।
বহু বছর পূর্বে রোমানিয়ান গ্রামের একটি ঝর্নার কাছে অ্যাম্বারের বড় টুকরোটি খুঁজে পান ওই পরিবারের এক সদস্য। এরপর থেকে এই পাথরটি সকলের চোখের সামনে পড়েছিল দরজার এক পাশে। তবে মজার বিষয় হলো, ওই বৃদ্ধার বাড়িতে এক বার চুরিও হয়। তখনও চোরদের নজর এড়িয়ে যায় বহুমূল্য এই পাথরটি।
তবে ১৯৯১ সালে মহিলার মৃত্যুর পর তার এক উত্তরাধিকারীর নজরে আসে অ্যাম্বার পাথরটি। তিনি পাথরটি পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার সন্দেহই সঠিক প্রমাণিত হয়। তিনি এটিকে রোমানিয়ান প্রশাসনের কাছে বিক্রি করে দেন। পাথরটি পেয়েই এটিকে জাতীয় সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করে রোমানিয়া প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা রত্নটি পরীক্ষা করে অনুমান করছেন এই পাথরটি প্রাগৈতিহাসিক যুগের, বয়স আনুমানিক ৭ কোটি বছর! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org