দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের আর্থরাইটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের বর্ষায় বেশি সাবধান থাকাটা জরুরি। নয়তো ব্যথা আরও বাড়বে। কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে সেটি আজ জেনে নিন।
অন্য সময়ের থেকে বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সে কারণে এই সময় আরও যন্ত্রণা বাড়ে। তাই যাদের আর্থরাইটিসের সমস্যা রয়েছে তারা বর্ষায় বেশি সাবধানে থাকতে হবে। নয়তো ব্যথা বাড়তে পারে। কোন নিয়মগুলো মেনে চললে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে সেটি আজ জেনে নিন।
# যে কোনও ব্যথা-বেদনা থেকে দূরে থাকতে বেশি করে পানি খাওয়াটা কিন্তু জরুরি। আর্থ্রাইটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম আরও বেশি করে মানতে হবে। শরীরে পানির অভাব ঘটলে অনেক সময় এই ধরনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে পা বেশি করে খেতে হবে।
# আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে ওজন বশে রাখাটা সবচেয়ে আগে জরুরি একটি কাজ। কারণ হলো বাড়তি ওজন ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বর্ষায় এমনিতে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকেই। কারণ বৃষ্টি পড়লে শরীরচর্চায় আলস্য আসে। তার উপর রয়েছে ভাজাভুজি, মুখরোচক খাবারও বেশি খাওয়া হয়ে যায় এই সময়। তাতেই বেড়ে যায় ওজন। সুস্থ থাকতে হলে ওজন যাতে না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
# আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় সারা বছরই শরীরচর্চা করতে হবে। বর্ষায় আরও বিশেষ করে নজর দিতে হবে শরীরের প্রতি। কারণ হলো এই সময় পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়। শরীরচর্চা না করলে পেশি শিথিল হতেই চায় না। যে কারণে ব্যথাও বেশি হয়। ভারি শরীরচর্চা করতে হবে, তার কিন্তু কোনও মানেই নেই। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলেও উপকার পেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org