দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু কিছু সব্জি বেশি খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। উপকারের পরিবর্তে শারীরিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কোন কোন সব্জিগুলো খাওয়ার ব্যাপারে বাড়তি সচেতন থাকতে হবে?
আমরা জানি সুস্থ থাকতে হলে সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। শাক-সব্জি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সে কারণে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় সব্জির স্থান শীর্ষে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে কোনও কিছুই সমস্যার সৃষ্টি করে সেটিও খেয়াল রাখা দরকার। সব্জির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু সব্জি বেশি খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। এতে করে উপকারের পরিবর্তে শারীরিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কোন সব্জিগুলো খাওয়ার বিষয়ে বাড়তি সচেতন থাকতে হবে?
বিট
আমরা জানি বিট খাওয়া শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের ডায়েটে বিট থাকে। তবে বিট বেশি খেলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে। জিভের সং সাময়িকভাবে লাল হবে। তবে এই রং বদল নিয়ে খুব একটা আশঙ্কিত হওয়ার অবশ্য কোনো কারণ নেই।
লেবু
পাতিলেবুর গুণ নিয়ে পৃথকভাবে বলার কিছু নেই। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবু প্রত্যেক দিন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে লেবুর অম্ল উপাদান বেশি শরীরে গেলে ক্ষতিও হতে পারে। যেমন দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। অনেকেই শরীরের বিপাক হার বাড়ানোর জন্য খালি পেটেই গরম পানিে লেবুর রস মিশিয়ে খান। যাদের সমস্যা রয়েছে, তাদের খালি পেটে অম্ল উপাদান পেটে গেলে হজমে গোলমালও হতে পারে। পেটে মারাত্মক যন্ত্রণাও হতে পারে।
ফুলকপি
ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটা কম। তাই যারা কিটো ডায়েট কিংবা লো-কার্ব ডায়েট করেন, তাদের ফুলকপির মতো সব্জি খুবই প্রিয়। তবে এই সব্জিতে গুণ অনেক থাকলেও এমন এক পদার্থ রয়েছে, যা হজম করা হয় মুশকিল। তাই বেশি খেলেও পেটভার, গ্যাসের মতো নানা রকম পেটের সমস্যাও হয়ে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org