দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বশির আহমেদ’র কন্যা সঙ্গীতশিল্পী হোমায়রা বশির, উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কন্যা গায়িকা দিঠি আনোয়ার এবং এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, উপস্থাপিকা পুতুল একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন।
পূণম প্রিয়মের উপস্থাপনায় এই তিনজন এবারই প্রথম একই অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অংশ নিলেন। গত ২১ অক্টোবর ‘রূপান্তর’ অনুষ্ঠানের তাদের পর্বটির রেকর্ডিং-এর কাজ সম্পন্ন হয়।
হোময়রা বশির বলেছেন, পূণম প্রিয়ম আপার নিমন্ত্রণে এই অনুষ্ঠানে এর আগেও আমি অংশ নিয়েছি। যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে এবারই প্রথম আমি দিঠি এবং পুতুল একসঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। রূপান্তর অনুষ্ঠানে সাধারণত আমরা নিজেদের কথা বলি।
এই অনুষ্ঠানে বর্তমানের কথা, অতীতের কথা ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। গল্প আড্ডায় বেশ জমে উঠবে অনুষ্ঠানটি। যেহেতু অনুষ্ঠানে প্রিয় দিঠি এবং পুতুলও ছিল। তাই এতে অনেক বেশি প্রাণবন্ত আড্ডা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এই পর্বটি প্রচারে এলে দর্শকদেরও ভালো লাগবে।
এই বিষয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দিঠি বলেছেন, পূণম আপা আমার প্রিয় একজন মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই অনুষ্ঠানটি নিয়মিত করে আসছেন। অনুষ্ঠানকে ঘিরে তার শ্রম, ধৈর্য্য সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করে। পূণম আপা ভীষণ প্রাণবন্ত এক জন মানুষ। যে কারণে তিনি যখনই এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য ডাক দেন, তখন চেষ্টা করি অংশ নিতে। হোমায়রা আপা, পুতুল’সহ আরও যারা এই আয়োজনে আড্ডায় অংশ নিয়েছেন আমরা এই সময়টিকে ভীষণ উপভোগ করেছি।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে পুতুল বলেছেন, এবারের আয়োজনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলাম আমি। সকলেই আমাকে ভীষণ স্নেহ করেন। আমিও সবাইকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। হোমায়রা আপা, দিঠি আপা পরিবারের মানুষের মতোই। হোমায়রা আপার বাবা যেমন এ দেশের একজন অত্যন্ত গুণী শিল্পী, অনুরূপভাবে দিঠি আপার বাবাও এ দেশের একজন প্রখ্যাত গীতিকারও। দু’জনকে নিয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত, এই দেশও গর্বিত। তাদের অবদানেই বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গন সমৃদ্ধও হয়েছে। তাদের অবদানের কথাও নানাভাবে আমাদের চলার পথে স্মরণও করতে হবে। আশা করছি অনুষ্ঠানটি প্রচারে এলে দর্শকেরও ভালো লাগবে।
উল্লেখ্য, ‘রূপান্তর’র তাদের নিয়ে এই পর্বটি শীঘ্রই চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org