দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে, ওট্স কী খালি ওজন কমায়? তা যে নয়- সেটি বিভিন্ন গবেষণায় উঠে বহু বার উঠে এসেছে। ওট্স আর কী কী উপকার করে?
অনেকেই রোগা হবেন বলে সকাল-বিকাল ওট্স খাচ্ছেন। সকাল বেলায় দই দিয়ে খেলে, আর রাতের খাবার থাকছে ওট্সের খিচুড়ি। একটানা ওট্স খেয়ে ওজন ঝরিয়েও ফেলেছেন বেশ খানিকটা। ছিপছিপে হতেও ওট্স যে সাহায্য করে, তাতে কোনও রকম সন্দেহ নেই। তবে ওট্সের কাজ কী শুধুই ওজন কমানো? তা যে নয়- সেটি বিভিন্ন গবেষণায় বহুবার উঠে এসেছে। তাহলে ওট্স আর কী কী উপকার করে?
# আপনার কী কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে? তাহলে ওট্স খেতেই পারেন। ওট্স শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে ওট্সে থাকে ‘অ্যাভেনানথ্রামাইড’ নামক এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।
# আর ওট্সে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও। যা পেটের সমস্যার সমাধান করে খুব সহজেই। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পেতেও ওট্স অনবদ্য। ওট্সে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক এক প্রকার ফাইবার, হজমেও সাহায্য করে। মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
# ডায়াবেটিস ধরা পড়লে কী খাবেন, তাহলে কোনগুলো খাবেন না, সেটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন রোগীরা। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্পও হতে পারে ওট্স। সেইসঙ্গে ওট্সের ফাইবার বিপাক প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়েও দিতে পারে। যে কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org