দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ডসংখ্যক ৫ কোটি ৭৫ লাখ স্মার্টফোন ইউনিট রপ্তানির মাধ্যমে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারে আবারও শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে স্যামসাং।
বৈশ্বিকভাবে স্বনামধন্য বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে; সবমিলে রপ্তানি হয়েছে ৩০ কোটি ৯৯ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ব্যবহারকারীদের চাহিদা বৃদ্ধি এবং নতুন পণ্যের উন্মোচন মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ২০২১ সালের পর, এই বছরই তৃতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন রপ্তানি হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন শিল্পখাত বিশেষজ্ঞদের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপনে সুনাম অর্জন করা ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, স্যামসাংয়ের এই সাফল্যের মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কার্যকরী ব্যবস্থাপনা এবং এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোনের লাইনআপ। এন্ট্রি-লেভেলের স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্যামসাং ব্যবহারকারীদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা সুবিধা নিশ্চিত করেছে। তাছাড়াও, গ্যালাক্সি ডিভাইসের বিস্তৃত পোর্টফোলিও নিয়ে স্যামসাং বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণে নিজেদের শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে।
পণ্যের লাইনআপ ছাড়াও সম্প্রতি গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ইভেন্টে স্যামসাং -এর উন্মোচন করা এআই সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিয়ে আসা উদ্ভাবন সবার প্রশংসা অর্জন করে। নতুন উন্মোচন করা এআই ওয়ালপেপার, রিয়েল-টাইম ফোন কল ট্রান্সলেশন, ম্যাজিক এডিটর-লাইক ফটো এনহান্সমেন্ট টুল, এআই-পাওয়ারড জুম-ইন, কথোপকথনের স্বাচ্ছন্দ্যে কি-বোর্ডে একাধিক টোন ও এআই-ইনফিউজড নোট প্রযুক্তিপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে। বর্তমান ট্রেন্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে ও ভবিষ্যৎ উপযোগী স্মার্টফোনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য অনুযায়ী স্যামসাং -এর শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। স্যামসাংয়ের সর্বশেষ উন্মোচন করা পণ্য ও উদ্ভাবন সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন অফিশিয়াল স্যামসাং নিউজরুমে।
# খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org