দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সুশীল সমাজ। প্রতিবেশী দেশ দু’টিতে শান্তি ফেরাতে আরেক প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে বৈঠক করেছেন রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
প্রতীকি ছবি
এই বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা হলেন রাশিয়ার মানবাধিকার কর্মী তাতায়ানা মোসকালকোভা। এতে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। -খবর সংবাদ সংস্থা তাসের।
বৈঠকে রাশিয়ান মানবাধিকার কর্মী তাতায়ানা মোসকালকোভা উল্লেখ করেছেন যে, উভয় পক্ষ নিখোঁজদের সনাক্ত করার প্রচেষ্টাসহ বেসামরিক লোকদের পারস্পরিক মানবিক সহযোগিতা প্রদান নিয়েও আলোচনা করা হয়।
ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ভারখোভনা রাদার মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানও বেলারুশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক সম্মতি ও যুদ্ধবন্দিদের চিঠির ভিত্তিতে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা ব্যক্তিদের তালিকা বিনিময় করেছি ও আরও মানবিক সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনাও করেছি।
মসকালকোভা এক টেলিগ্রাম পোস্টে আরও লিখেছেন যে, নিখোঁজদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টাসহ বেসামরিক লোকদের সহায়তা করা, পরিবারগুলোর পুনর্মিলন করা ও পরিবারগুলোকে যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে সহায়তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের একজন ৯১ বছর বয়সী নারী বেলারুশের পার্লামেন্টের সহায়তায় বেলারুশে তার রুশ পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হন। তার ছেলে আমাদেরকে তার মাকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে বলেন, যাতে তিনি তার যত্ন নিতে পারেন। আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি যাতে ওই নারীকে দেখতে যেতে পারেন তার ছেলে।
মোসকালকোভা ব্যাখ্যা করেছেন যে, ইউক্রেনের মানবাধিকার কর্মী ও রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি তাকে ইউক্রেনের চেরকাসি অঞ্চল হতে বেলারুশের সীমান্তে ও সেখান থেকে রাশিয়া নিয়ে যেতেও সাহায্য করছে।
রাশিয়ার ওই বৃদ্ধ নারীকে তার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে পুনর্মিলনে সহায়তার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সীমান্ত পরিষেবাকে ধন্যবাদ জানান মোসকালকোভা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org