দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বৃহত্তম মেরিটাইম এবং অফশোর প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন অ্যান্ড অফশোর এক্সপো ২০২৪’ (বিমক্স) -এ অংশগ্রহণ করেছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি।
এক্সপো -তে প্রতিষ্ঠানটি আগত দর্শনার্থীদের সামনে নিজেদের অত্যাধুনিক পণ্যসমূহ তুলে ধরে। ৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই এক্সপোর উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত বিভিন্ন অতিথি, বিদেশি কূটনীতিক ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি চলে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত।
সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ রিসাইক্লিং, অফশোর তেল এবং গ্যাস সহায়তা, শিপিং লজিস্টিক ও বন্দর, মাছ ধরার জাহাজ ও মৎস্য এবং অটোমেশন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন স্টল দেয়া হয়েছে। প্রদর্শনীতে এনার্জিপ্যাক (আইএসও প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠান) বিশ্বখ্যাত চীনা ব্র্যান্ড ‘ওয়াইসি ডিজেল’ -এর পণ্যসমূহ প্রদর্শন করছে। দর্শনার্থীরা স্টল নম্বর ২৩-২৪-এ গিয়ে অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের থেকে এই পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এই বিষয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র চিফ বিজনেস অফিসার (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার) মোহাম্মদ মাসুম পারভেজ বলেন, “বিমক্স দেশের সব চেয়ে বড় মেরিটাইম এক্সপো। এই এক্সপো জাহাজ ও শিপিং লজিস্টিক সম্পর্কিত পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। এনার্জিপ্যাক বিখ্যাত ‘ওয়াইসি ডিজেল’ এর ইঞ্জিন সরবরাহ করে; পাশাপাশি, এ পণ্যগুলোর বিক্রয়োত্তর সেবা ও যন্ত্রাংশ সহায়তাও নিশ্চিত করছি আমরা। এক্সপো -তে আমাদের স্টলে এসে খাতসংশ্লিষ্ট পেশাজীবী একং দর্শনার্থীরা এনার্জিপ্যাক ও মেরিন ইন্ডাস্ট্রির ওয়াইসি পোর্টফোলিও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।”
উল্লেখ্য যে, এনার্জিপ্যাক গুয়ানশি ইউচাই মেশিনারি গ্রুপ কো. লিমিটেড নামে পরিচিত ‘ওয়াইসি ডিজেল’র অনুমোদিত ডিলার। ইনল্যান্ড রিভার শিপিং এবং মহাসাগরে মাছ ধরার নৌযানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে মেরিন ইঞ্জিনগুলো তৈরি করে ইউচাই।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org