দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) এর জন্য এফজি উইলসন জেনারেটর সরবরাহ করবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সমাধান নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই জেনারেটর।
এই লক্ষ্যে সম্প্রতি এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এনার্জিপ্যাকের পক্ষ থেকে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ছিলেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ এবং চিফ বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ মাসুম পারভেজ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার)। বিএটি বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায়, এনার্জিপ্যাক বিএটি বাংলাদেশকে তিন সেট এফজি উইলসন জেনারেটর সরবরাহ করবে। এই জেনারেটরগুলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিএটিবি’কে এর অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
হুমায়ুন রশীদ এই চুক্তি সম্পর্কে বলেন, “এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে টেকসই অনুশীলনের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। জ্বালানি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এরকম আরও সহযোগিতামূলক উদ্যোগ প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ব্র্যান্ড এফজি উইলসন জেনারেটর বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। ৬.৮ থেকে ২,৫০০ কেভিএ পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরের ডিজেল-জ্বালানি চালিত জেনারেটর সেট রয়েছে এফজি উইলসনের। এনার্জিপ্যাক বাংলাদেশে এফজি উইলসন জেনারেটরের একমাত্র পরিবেশক।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org